আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
সম্মানিত পাঠক, আমার সালাম নিবেন আসসালামু আলাইকুম। আজকে আপনাদের সাথে চিকিৎসা বিষয়ক একটি পরামর্শ দিব। সেটি হচ্ছে আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করবেন। বর্তমান সময়ে একটি কমন প্রবলেমে মানুষ পড়ে থাকে সেটি হচ্ছে আমাশয় রোগ।এ রোগটি কে অনেকে ছোট করে দেখে কিন্তু আমি তাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলবো আমাসয় একটি মারাত্মক রোগ। যা আপনার শরীরকে নিস্তেজ করে দেবে। এ রোগের অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে যেমন পেট কামড়ে ঘনঘন টয়লেট আশা। এই আমাশয় রোগের চিকিৎসা সঠিক সময় না করলে মৃত্যুঝুকিতে পড়ে যায় মানুষ। আজকে আপনাদের দেখাব কিভাবে আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন। চলুন দেরী না করে প্রসেস গুলো দেখা যাক।
আরো পড়ুন:
আজকের পরিচ্ছেদসমূহ
- শুঠের ঘুড়া
- আম জাম পাতার রস
- ডালিম
- তেতুল
- থানকুনি
- বেতো শাক
- মুথা
- অর্জুন
- আমরা
শুঠের ঘুড়া
অনেকে আছে যাদের অনেক পুরনো আমাশয় তাদের উচিত 1 গ্রাম আদা রস ও শুঠের গুঁড়া গরম জলে সঙ্গে খাওয়া। এটি খাওয়ার ফলে আপনার আম পরিপাক হবে।
আম ও জাম পাতার রস
এই উপাদানটি আমাশয় রোগের জন্য খুবই উপকারী একটি ঔষধ।আপনি প্রতিদিন কাঁচা আম পাতা ও জাম পাতার রস দুই থেকে তিন চামচ গরম পানির সঙ্গে খেলে আমাশয় সেরে যাবে।তাছাড়াও যাদের রক্ত আমাশা রয়েছে তারা যদি জামের কচি পাতার রস দুই থেকে তিন চামচ একটু গরম পানির সঙ্গে খায় তাহলে 2-3 দিনের মধ্যে তা সেরে যাবে। এর সাথে একটু ছাগলের দুধ মিশিয়ে নিলে আরো ভাল হয়।
ডালিম
ডালিম হচ্ছে একটি খুব উপাদেয় ফল যার গুণ বলে শেষ করা যাবে না কিন্তু এই গাছটির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এই গাছের ছাল যদি আপনি পানির সাথে সিদ্ধ করে খান তাহলে আপনার আমাশয় চিরতরে সেরে যাবে।
তেতুল
তেতুলের নানাবাড়ি গুনাগুন রয়েছে তার মধ্যে একটি বড় গুন রয়েছে সেটি হচ্ছে যদি অনেক দিনের পুরনো আমাশয় হয়ে থাকে অর্থাৎ বহুদিনের পুরনো আমাশয় তাহলে আপনি চার থেকে পাঁচ গ্রাম তেতুলের পাতা সিদ্ধ করে তা চটকে সে রস খেতে হবে। তাহলে বহুদিনের পুরনো আমাশয় সেরে যাবে।
থানকুনি
আমাশয় মানে আমাসিতার এবং জ্বর দুটোই হয়েছে। সাধারণত একটি বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। থানকুনি গাছের পাতার রস গরম করে ছেঁকে খাওয়ালে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বেতো শাক
যাদের রক্ত আমাশয় তারা যদি এই বেতো শাকের রস তিন থেকে চার চামচ অল্প গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে তাহলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মোষের দুধ হলে ভাল হয়।
মুথা
আমাশয় হলে অনেক মানুষেরই পেট কনকন করে ব্যথা করে সেক্ষেত্রে মুথার কাথ খেলে ব্যথা কমে যায়।
অর্জুন
অর্জুন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর নানাভিদো গুনাগুন রয়েছে। যাদের রক্ত আমাশয় চার থেকে পাঁচ গ্রাম অর্জুন ছালের রস ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে পুরনো আমাশয় সেরে যাবে।
আমড়া
অনেকে আছে যাদের হজম শক্তি খুবই কম কিন্তু তারপরেও তারা অনেক খাওয়া-দাওয়া করে যার ফলে তাদের আমাশা হয়ে যায় ।কিছুদিন পর রক্ত পড়ে।এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আপনাকে আমরা গাছের আঠা তিন থেকে চার গ্রাম আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে আমরা গাছের ছালের রস 1 চা চামচ মিশিয়ে চিনি দিয়ে খেলে দুই দিনের মধ্যে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমাশা সেরে যাবে।