চিংড়ি
প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত এবং খুব সুস্বাদু মাছ সম্পর্কে। সে মাছটির নাম হচ্ছে চিংড়ি মাছ। চিংড়ি মাছ হচ্ছে একটি সন্ধিপদী প্রাণী। চিংড়ি বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। চিংড়ী নোনা এবং মিষ্টি জল উপায় পানিতে বসবাস করতে পারে। মিষ্টি জলের চিংড়ি একরকম নোনা পানির চিংড়ি আরেকরকম।চলুন কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আজকের পরিচ্ছেদসমূহ
- চিংড়ী মাছের গঠন
- চিংড়ী চাষ পদ্ধতি
- চিংড়ী মাছ অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- চিংড়ী মাছের রেসিপি
চিংড়ী মাছের গঠন
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ী রয়েছে।এইসকল চিংড়ির একেকটি একেক প্রজাতির এবং একেক ধরনের সাইজ হয়ে থাকে। চিংড়ি মাছ কোন অঞ্চলে বসবাস করতে পারে। নোনা জলের চিংড়ী মূলত আকারে বড় হয়।নোনা জলের চিংড়ির মধ্যে রয়েছে গলদা চিংড়ী, বাগদা চিংড়ি, চাকা চিংড়ী, টাইগার চিংড়ী ইত্যাদি। মিষ্টি জলের চিংড়ী তুলনামূলক অনেক ছোট। মিষ্টি জলের চিংড়ীকে মূলত ইসা মাছ বলা হয়।
চিংড়ী চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশ মূলত তিনটি উপায়ে চিংড়ি চাষ করা যায়।
- এককভাবে চিংড়ী চাষ
- পর্যাক্রমে চিংড়ী ও ধান চাষ
- পর্যাক্রমে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ী চাষ
একক ভাবে চিংড়ি চাষ
এককভাবে চিংড়ী চাষ বলতে মূলত উপকূলীয় এলাকায় বাগদা চিংড়ী চাষ কে বোঝানো হয়ে থাকে। কারণ এখানে জোয়ার ভাটা প্রভাব রয়েছে এবং জোয়ার ভাটা প্রবণ এলাকায় এককভাবে চিংড়ী চাষ করার জন্য উপযোগী স্থান। খুলনার জেলেরা চিংড়ী খামারগুলোর অধিকাংশ উপকূলীয় বাঁধের ভিতরে অবস্থিত। কারণ এগুলি এককভাবে চিংড়ী চাষের জন্য উপযুক্ত স্থান।একটি আদর্শ চিংড়ী খামার ব্যবস্থাপনার জন্য যে সকল বিষয়ের উপর দৃষ্টি রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে জলোচ্ছ্বাস ও খামারে বন্যা যেন কোনো ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য চারদিকে বেড়া বা সুরক্ষা বাদ রাখতে হবে।সুরক্ষা বেড়া মূলত 2 থেকে 3 মিটার উঁচু হয়ে থাকে।
লবণ উৎপাদন ও চিংড়ী চাষ
পর্যায়ক্রমে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ী চাষ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় পর্যায়ক্রমে একই জমিতে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ী চাষের প্রথা চালু আছে। সেখানে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লবণ তৈরি করা হয়। মে মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চিংড়ী চাষ করা হয়।মৎস্য অধিদপ্তর এর এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে মোট চিংড়ীর উৎপাদন ছিল ১,৯৫,৬৯০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে সংগৃহীত হয়েছিল ১,৫১,৪২৯ মেট্রিক টন এবং সমুদ্র থেকে ৪৪,২৬১ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বাংলাদেশ এই খাদ থেকে প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। আমাদের দেশের চিংড়ি গুণগতমান এবং এর শাদের দিক দিয়ে ভালো থাকার কারণে দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়।দেশের বাইরে বাংলাদেশের চিংড়ির চাহিদা প্রচুর যার কারণে দিন দিন চিংড়ির চাহিদা বেড়েই চলেছে।
চিংড়ি মাছের রেসিপি
এ মাছের অনেকগুলো রেসিপি হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে একটি সুস্বাদু রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেটি হচ্ছে চিংড়ী মাছের ডাউল। প্রথমে এই মাছ ভালো ভাবে ফ্রাই করে নিবেন। তারপর রেগুলার পদ্ধতিতে যেভাবে ডাউল রান্না করেন সেভাবে ডাল রান্না করে তার মধ্যে চিংড়ী মাছ গুলো ছেড়ে দিবেন এবং 10-15 মিনিট হালকা আছে ফোটাবেন।