পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ২৫ জুন জমকালো আয়োজন দেখুন। আগামীকাল 25 তারিখ পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রধান অতিথি হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সড়ক মন্ত্রী এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হচ্ছে শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সকল কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু কে ঘিরে মানুষের জে আশা ছিল সে আশা 25 তারিখ পূরণ হতে যাচ্ছে ।এই সেতুর নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সেতুর দুই পাশে দুটি থানা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সর্বক্ষণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে এই সেতু পাহারা দেওয়া হবে। এই সেতু প্রস্তুত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অনেক মানুষের তাদের যাতায়াতের অসুবিধা হয়েছে। সেইসাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক উন্নতি হবে।
সেতু ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সেতুর টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে। সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা দিয়ে সেতু পারাপার করতে হবে সে বিষয়ে একটি চার্ট সিট দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ সেতুর টোল এর টাকা দিয়ে বাংলাদেশের আরো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে। টোল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এরইমধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে একটি নোটিশ দিয়েছে। সেখানে বড় বাসে সেতু পারাপার করতে 2400 টাকা টোল দিতে হবে এবং মাঝারি টাক সেতু পারাপার হতে 2800 টাকা টোল দিতে হবে।
এ সেতু উদ্বোধন কে ঘিরে অনেক মানুষ নৌকা বানিয়ে তাদের মনের আনন্দ প্রকাশ করতেছে। সেইসাথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন দেখার জন্য লাখো মানুষ সেখানে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে।
পৃথিবীর বুকে পদ্মা সেতু একটি আশ্চর্যজনক সেতু হিসেবে পরিচিতি এনেছে। পদ্মা সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন হবে। এই সেতুর বিশেষত্ব হচ্ছে এটি দুই স্তরের স্টিল এবং কংক্রিট নির্মিত একটি সেতু। এই সেতুতে একই সাথে ট্রেন এবং যানবাহন চলতে পারবে। নিচের স্তরে ট্রেনলাইন রাস্তা এবং উপরের স্তরের কংক্রিট বিশিষ্ট চার লেনের সড়ক পথ। এযাবতকালে এ রকম কোন ইঞ্জিনিয়ারিং আর্কিটেক্ট ব্যবহার করা হয়নি। এই মেগা প্রজেক্ট এর যে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে তা বিশ্বের অন্যান্য সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। এই পদ্মা সেতু ভূমিকম্প ৮ স্কেলের কম্পন সহ্য করতে পারবে। যা পৃথিবীর অন্য কোন সেতুতে সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন:
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের আকুতি কলকাতায় আটকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি নাবিকের
শুভ জন্মদিন লিওনেল মেসি ( Happy Birthday Lionel Messi)
পরিশেষে একটি কথাই বলবো পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির গর্ব বাংলাদেশের গর্ব । এর কারণ হচ্ছে পদ্মা এমন এক খরস্রোতা নদী । যার গতিপথ সেকেন্ড এ পরিবর্তন করে। এই খরস্রোতা নদীর উপর এত বড় একটি মেগা প্রজেক্ট তৈরি করা অনেক চ্যালেঞ্জ এর কাজ ছিল। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি সেটা করে দেখিয়েছে। এই পদ্মা সেতু গিনিস বুকে নাম লেখাতে চলেছে।