Skip to content
Home » পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম-শান্তির ধর্ম তালিকা

পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম-শান্তির ধর্ম তালিকা

  • by
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম

পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম

পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম বলতে আমরা কি বুঝি। পৃথিবীর প্রত্যেকটি ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ধর্ম মানে শান্তি। কিন্তু প্রত্যেকটি ধর্মে অনেকগুলো দল রয়েছে। যাদের একেকটি দলের কর্মকাণ্ড এক এক রকম। তাদের কারনে আজ ধর্মের মধ্যে এত বিভেদ এত রেষারেষি চলতেছে। পৃথিবীতে মানুষের জীবন যাপনের দিক নির্দেশনার জন্য যোগাযোগের বিভিন্ন অবস্থায় পৃথিবীতে ধর্মের বার্তাবাহক আগমন হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও ভারত হচ্ছে ধর্মের আদি ভূমি।ধর্মের নামে মানুষ যুগে যুগে রক্তপাত করে এসেছে আবার এই ধর্মের নামে মানুষ যুগেযুগে শান্তির বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও কিছু লোক রয়েছে যারা কোন ধর্ম বিশ্বাস করে না তাদের মনে বিজ্ঞান ও আধুনিক পৃথিবী তাদের জন্ম হয়েছে পরিবর্তনের মাধ্যমে এটাই তাদের বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করে বিজ্ঞান ও আধুনিক জগতকে। তারা ভাবে যে বানর থেকেই যুগেযুগে পরিবর্তন হয়ে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে।

আজকের পরিচ্ছেদসমূহ

  • ইসলাম ধর্ম
  • হিন্দু ধর্ম
  • খ্রিস্টধর্ম
  • বৌদ্ধ ধর্ম

ইসলাম ধর্ম

ইসলাম শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণ বা এক স্রষ্টার নিকট নিজেকে অর্পণ। ইসলাম আরবি শব্দ এর অর্থ একত্ববাদী। ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর কোরআন নাজিল হয়। তিনি হেরা গুহায় ১৫ বছর সাধনার পর নবুয়ত লাভ করেন তার ওপর কোরান নাজিল হয়। কোরআন হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার বাণী যা প্রত্যেকটি মুসলমান অনুসরণ করে এবং সে অনুযায়ী আল্লাহর ইবাদত করে। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)।

খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। কুরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়।ইহুদি ও খ্রিস্ট ধর্মের ন্যায় ইসলাম ধর্মও আব্রাহামীয়। মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১৯০ কোটি ও তারা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী। মুহাম্মদ ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব ইউরোপে মুসলমানরা বাস করেন

হিন্দু ধর্ম

হিন্দু ধর্ম হচ্ছে সনাতন ধর্ম। এর কারণ তাদের ধর্ম তারা বিশ্বাস করে অনেক পুরাতন ধর্ম হচ্ছে হিন্দুধর্ম।হিন্দুধর্মের সাধারণ “ধরনগুলির” মধ্যে লৌকিক হিন্দুধর্ম ও বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিবাদী ধারার মতো একাধিক মতবাদগুলির সমন্বয়ের এক প্রচেষ্টা লক্ষিত হয়।হিন্দুধর্ম একাধিক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই।প্রায় ১০০ কোটি হিন্দু বাস করেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে।[২৪][২৫] এছাড়া নেপাল (২৩,০০০,০০০), বাংলাদেশ (১৪,০০০,০০০) ও ইন্দোনেশীয় দ্বীপ বালিতে (৩,৩০০,০০০) উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দুরা বাস করে।

খ্রিস্টধর্ম

নাজারাথের যিশুর জীবন ও শিক্ষাকে কেন্দ্র করে এই ধর্ম বিকশিত হয়েছে। খ্রিস্টানরা মনে করেন যিশুই মসীহ এবং তাকে যিশু খ্রিস্ট বলে ডাকেন।খ্রিস্ট ধর্ম হচ্ছে একেশ্বরবাদী ধর্ম। তারা বিশ্বাস করে যে যীশু খ্রীস্ট হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।২০০১ খ্রিস্টাব্দের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে ২.১ বিলিয়ন খ্রিস্ট ধর্মের অনুসরণকারী আছে।প্রথম শতাব্দীতে একটি ইহুদি ফেরকা হিসেবে এই ধর্মের আবির্ভাব। সঙ্গত কারণে ইহুদি ধর্মের অনেক ধর্মীয় পুস্তক ও ইতিহাসকে এই ধর্মে গ্রহণ করা হয়েছে।

বৌদ্ধ ধর্ম

বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত।বৌদ্ধ ধর্ম বা ধর্ম (পালি ভাষায় ধম্ম) গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। জাতকে, বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ ,মতান্তরে ৫৪৯ বার বিভিন্ন কূলে (বংশে) জন্ম নেবার আগে উল্লেখ আছে। তিনি তার আগের জন্মগুলোতে প্রচুর ভালো বা পুণ্যের কাজ করেছিলেন বিধায় সর্বশেষ জন্মে বুদ্ধ হবার জন্য জন্ম গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *