Skip to content
Home » প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ২০২৩

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ২০২৩

  • by
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ২০২২

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক। যা প্রবাসীদের ঋণ দেওয়ার জন্য কাজ করে। প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ তাদের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার জন্য তাদের সব সময় আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো থাকেনা। যার ফলে তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে কিমবা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয় চড়া সুদে। তাই বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীদের ঋণ প্রদান করে থাকে স্বল্প সুদে বিনিময়। যে সকল ভাই ও বোনেরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সকল ধরনের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম সকল তথ্য নিচে দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সরকার 2010 সালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এটি এক বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। 1 বিলিয়ন টাকা 95 ভাগ এসেছে প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড থেকে এবং বাকি পাঁচ ভাগ এসেছে বাংলাদেশ সরকার হতে। তাদের এই ঋণ ব্যবস্থা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অধিবাসীদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন 2010 এর মাধ্যমে এ ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কলম্বো প্রসেস এর ৪র্থ সম্মেলন চলার সময় ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল এই ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখাসহ ৬৪টি শাখা হতে প্রায় প্রতিদিন ২০০০ বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীর কাছ হতে রেজিস্ট্রেশন ফি,স্মার্টকার্ড ফি এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ফি সংগ্রহ করে থাকে। জানুয়ারি ২০১৪ সাল হতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত ২৮৫২২ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী ঋণ প্রদান করেছে। ব্যাংকটি ৩ দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকে এছাড়া বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে।

আরো পড়ুন: কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২২

অভিবাসন ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতা

  • আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকরির জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।

আবেদনকারীকে নিয়োগকারী/ব্যক্তিগতভাবে সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি (ভিসা যাচাইয়ের জন্য) ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন/এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।

  •  ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্নে বর্ণিত কাগজপত্রসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।
  • অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে।
  •  আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠজন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুন: বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম-১০০০০ টাকা লোন

অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলী

  • দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর (২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে)। যেমনঃ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপ ইত্যাদি।
  •  পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।
  •  অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র শতকরা ০৯ টাকা।
  •  সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে ০১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তী করণীয়

  •  আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ০২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
  • নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পর অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  •  আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
  •  অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে বীমা সুবিধা নিতে হবে।
  • অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
  • অভিবাসী কর্তৃক আয়কৃত সমুদয় রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্ট্রাক্ট (যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ আছে) এর ফটোকপি (০২ কপি) এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
  •  জামিনদারদের যে কোন এক জনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।
  •  অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়ার আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে) প্রদান করতে হবে।
  •  যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন, সে এজেন্সী কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখসহ প্রত্যয়ন।
  • অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত দিতে হবে।
  •  বিমান টিকেটের ফটোকপি। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  •  কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিতে হবে।
  •  শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
  • আবেদনকারীর বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং/ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়) জমা দিতে হবে। BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  •  ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।

স্থানের ধরণ        :               ব্যাংক, অর্থায়ন

ঠিকানা :               TTC Complex, 164, Dhaka-Mymensingh Rd, ময়মনসিংহ 2200, Bangladesh

সমন্বয় করা         :               24.7357036, 90.4067087

ফোন     :               +880 1716-218462

ইমেল    :

রেটিং    :               4.30

ওয়েবসাইট         :               www.pkb.gov.bd

খোলার সময়

সোমবার: 10:00 AM – 4:00 PM

মঙ্গলবার: 10:00 AM – 4:00 PM

বুধবার: 10:00 AM – 4:00 PM

বৃহস্পতিবার: 10:00 AM – 4:00 PM

শুক্রবার: বন্ধ

শনিবার: বন্ধ

রবিবার: 10:00 AM – 4:00 PM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *