বসন্ত কবিতা রবি ঠাকুরের- বসন্ত নিয়ে ৩ টি কবিতা, সম্মানিত পাঠক, যে সকল পাঠক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি রবীন্দ্রনাথের বসন্তের কবিতা। অনেক ভিজিটর রয়েছে যারা কবিগুরুর বসন্তের কবিতা খুঁজে থাকেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আজকে আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিনটি কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। যদি আপনি প্রশান্তর কবিতা পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। সেই সাথে এই পেজের একটি অ্যড ক্লিক করে দিবেন।
আরো পড়ুন: চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের কবিতা
রবি ঠাকুরের তিনটি বসন্তের কবিতা
এখানে আজকে আমরা রবি ঠাকুরের তিনটি বসন্তের কবিতা শেয়ার করেছি। যেখান থেকে আপনি আপনার মনের মত কবিতাটি পাঠ করতে পারেন এবং সেইসাথে কবিতাগুলো শেয়ার করে অন্যকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। তাহলে চলুন কবিতাগুলো পড়া যাক।
শেষ বসন্ত – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর — আজিকার দিন না ফুরাতে হবে মোর এ আশা পুরাতে– শুধু এবারের মতো বসন্তের ফুল যত যাব মোরা দুজনে কুড়াতে। তোমার কাননতলে ফাল্গুন আসিবে বারম্বার, তাহারি একটি শুধু মাগি আমি দুয়ারে তোমার। বেলা কবে গিয়াছে বৃথাই এতকাল ভুলে ছিনু তাই। হঠাৎ তোমার চোখে দেখিয়াছি সন্ধ্যালোকে আমার সময় আর নাই। তাই আমি একে একে গনিতেছি কৃপণের সম ব্যাকুল সংকোচভরে বসন্তশেষের দিন মম। ভয় রাখিয়ো না তুমি মনে! তোমার বিকচ ফুলবনে দেরি করিব না মিছে, ফিরে চাহিব না পিছে দিনশেষে বিদায়ের ক্ষণে। চাব না তোমার চোখে আঁখিজল পাব আশা করি রাখিবারে চিরদিন স্মৃতিরে করুণারসে ভরি। ফিরিয়া যেয়ো না, শোনো শোনো, সূর্য অস্ত যায় নি এখনো। সময় রয়েছে বাকি; সময়েরে দিতে ফাঁকি ভাবনা রেখো না মনে কোনো। পাতার আড়াল হতে বিকালের আলোটুকু এসে আরো কিছুখন ধরে ঝলুক তোমার কালো কেশে। হাসিয়া মধুর উচ্চহাসে অকারণ নির্মম উল্লাসে, বনসরসীর তীরে ভীরু কাঠবিড়ালিরে সহসা চকিত কোরো ত্রাসে। ভুলে-যাওয়া কথাগুলি কানে কানে করায়ে স্মরণ দিব না মন্থর করি ওই তব চঞ্চল চরণ। তার পরে যেয়ো তুমি চলে ঝরা পাতা দ্রুতপদে দোলে, নীড়ে-ফেরা পাখি যবে অস্ফুট কাকলিরবে দিনান্তেরে ক্ষুব্ধ করি তোলে। বেণুবনচ্ছায়াঘন সন্ধ্যায় তোমার ছবি দূরে মিলাইবে গোধূলির বাঁশরির সর্বশেষ সুরে। রাত্রি যবে হবে অন্ধকার বাতায়নে বসিয়ো তোমার। সব ছেড়ে যাব, প্রিয়ে, সমুখের পথ দিয়ে, ফিরে দেখা হবে না তো আর। ফেলে দিয়ো ভোরে-গাঁথা ম্লান মল্লিকার মালাখানি। সেই হবে স্পর্শ তব, সেই হবে বিদায়ের বাণী। |
এখন আমরা আপনাদের সাথে আরেকটি বিখ্যাত কবিতা রবীন্দ্রনাথের বসন্ত নিয়ে শেয়ার করব। যে কথাটি পড়লে সবাই বসন্তের আমার যা হারিয়ে যায়। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কবিতাটি।
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গীতাঞ্জলি)– আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে কোরো না বিড়ম্বিত তারে। আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো, আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো, এই সংগীত-মুখরিত গগনে তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো। এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে। অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে– দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে। মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে, কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে, এই সৌরভবিহ্বল রজনী কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে। ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত, তব গম্ভীর আহ্বান কারে। (বোলপুর, ২৬ চৈত্র, ১৩১৬) |
‘আহা আজি এই বসন্তে,
এতো ফুল ফোঁটে,
এতো বাঁশি বাজে এতো পাখি গায়।’
‘বসন্ত এলো এলো এলোরে,
পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে।’
‘বসন্ত আজ আসলো ধরায়,
ফুল ফুটেছে বনে বনে,
শীতের হাওয়া পালিয়ে বেড়ায় ফাল্গুনী মোর মন বনে।’
পরিশেষে আপনাদের সাথে একটি কথাই বলবো যদি আমাদের এই রবি ঠাকুরের বসন্তের কবিতা গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার কমেন্ট করে দিবেন এবং সেইসাথে আমাদের এই পেজের একটি এডে ক্লিক করে দিবেন। তাহলে আমরা আপনাদের আরো নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।