বৃষ্টি বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে লাইভ আপডেট-এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু
উত্তরাখণ্ড প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য নেমে এসেছে দুর্যোগ। উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি খুব গুরুতর।এমনিতে বিভিন্ন জায়গায় ধশ কার্যত গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে হাজার পর্যটক। এরমধ্যে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতেছে। শেষের খবর পাওয়া যাচ্ছে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। ৪০ জনের বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে নৈনিতাল এলাকায়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন মৃতদের পরিবারকে এক লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং যারা বাড়ি হারিয়েছে তাদের ১ লক্ষ ৯০ হাজার দেওয়া হবে ঘর বাড়ি তৈরি করার জন্য।গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভাল ধারণার জন্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি অতিবৃষ্টিতে প্রভাবিত বিভিন্ন এলাকা আকাশপথে সফর করে দেখেন।
তিনি জানান, ‘বিপর্যস্ত এলাকাগুলি থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেনা পাঠানো হচ্ছে।ইতিমধ্যে টেলিফোনে কথা বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।এর মধ্যে সরকারের উদ্ধারকারী দল কাজে নেমে পড়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকার কারণে কাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।হলদওয়ানিতে গাউলা নদীর জলে ভেসে গেছে সেতু। নৈনিতাল লেকের জলে ধুয়ে গেছে রাস্তা।
উত্তরাখণ্ডে লাইভ আপডেট
জানা গেছে উত্তরাখণ্ডে বাংলার একাধিক পর্যটক আটকা পড়ে আছে। উত্তরাখণ্ডের এই পাহাড়ী রাজ্যে পুজোর ছুটি কাটাতে গিয়ে তারা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। জানা গেছে এই বাংলা পর্যটক গুলো হাওড়া থেকে যাওয়া 14 জন পর্যটক।সোমবার রাতে পর্যটকদের ফেরার ট্রেন ছিল কাঠগোদাম স্টেশন থেকে। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টিতে কাঠগোদাম ফেরার রাস্তায় বড়সড় ধস নামে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারী বৃষ্টির পর ধ্বংসাবশেষ পড়ে যাওয়ার কারণে চামোলি জেলায় সোমবার বদ্রিনাথ মহাসড়ক অবরোধ ছিল। যাত্রীবাহী যানবাহন চন্দ্র ভাঙ্গা সেতু তপবন লক্ষনছড়া এবং মনি কি ভদ্রকালী বাধা অতিক্রম করতে দেওয়া হচ্ছে না।মুখ্যমন্ত্রী এখানে সচিবালয়ে রাজ্য দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করে আবহাওয়া আপডেট এবং রাস্তা সড়কের অবস্থা জানতে চেয়েছেন।
তিনি তীর্থযাত্রীদের কাছে আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুদিনের জন্য তাদের যাত্রা স্থগিত করার আদেশ দিয়েছেন।