Skip to content
Home » একটি পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর-তৈরির প্রশিক্ষন

একটি পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর-তৈরির প্রশিক্ষন

  • by
মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর

একটি পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর

একটি পতিত জলাশয়ে মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর কিভাবে তৈরি করবেন। মাছ চাষের জন্য একটি পতিত জলাশয়  আদর্শ।কিভাবে আপনারা একটি পতিত জলাশয়ে মাছ চাষের আদর্শ পুকুর তৈরি করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আপনাদের দেব।

পতিত জলাশয় বলতে আমরা বুঝি ও পরিত্যক্ত পুকুর-জলাশয় কিংবা বিল। অনেকদিন যাবত  অ ব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে সেগুলো কে বোঝায়। সেই পতিত জলাশয় মাছ চাষের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে।কিন্তু এই আদর্শ মাছ চাষের জায়গা তৈরি করার জন্য যে পদক্ষেপ গুলো আপনাকে নিতে হবে সেগুলো আমরা আজকে আলোচনা করব। চলুন কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত শুরু করা যাক।

একটি পতিত জলাশয়

একটি পতিত জলাশয় বলতে আমরা যা বুঝি। গ্রামে বা শহরে কোন পরিত্যক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলার জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।একটি পতিতার জলাশয়ে মাছ চাষের উপযুক্ত করতে হলে যে সকল নিয়মগুলো আপনাকে মানতে হবে

  1. প্রথমে জলাশয়টি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে
  2. তারপর জলাশয়টি এর গভীরতা নির্ণয় করতে হবে। কারণ গভীরতার ওপরে মাছের গ্রোথ নির্ভর করে।
  3. তারপর খেয়াল রাখতে হবে যেন জলাশয় কোন প্রকার রাক্ষসে মাছ না থাকে। সে ক্ষেত্রে পানি সেচ কিংবা বিষ প্রয়োগ করে রাক্ষসে মাছ গুলো নিধন করতে হবে।
  4. তারপর পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে চুন প্রয়োগ করতে হবে যেন পুকুরের পানিতে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া না থাকে।

আরো পড়ুন:

একটি আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য যেমন হওয়া উচিৎ

মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর

পুকুর বলতে বোঝায় একটি ছোট ও গভীর জলাশয় যেখানে আপনি নিয়ন্ত্রিতভাবে মাছ চাষ করতে পারবেন। পুকুর হচ্ছে চার যোগ্য একটা অবস্থান যেখানে মাছ চাষ করা হয়।একটি পুকুরের আয়তন কয়েক শতাংশ থেকে কয়েক এখন পর্যন্ত হতে পারে।ছোট যে কোন পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুবিধাজনকভাবে সেখানে মাছ চাষ করা খুবই সহজ।

আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য

 একটি আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য কি কি থাকা দরকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো। একটি আদর্শ পুকুর তৈরি করতে  কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে। সেগুলো হলো

  • প্রথমে যে পুকুরটি নির্বাচন করবেন সে পুকুরটি বন্যামুক্ত হতে হবে।বন্যামুক্ত বলতে সে পুকুরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারবে না পুকুরের পাড় যথেষ্ট উঁচু হতে হবে।
  • আপনি যে পুকুরটি মাছ চাষের জন্য নির্বাচন করবেন সে পুকুরের মাটি অবশ্যই দোআঁশ পলি দোআঁশ বা এঁটেল দো-আঁশ হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
  • আপনি যে পুকুর নির্বাচন করবেন সে পুকুরে যেন সারা বছর পানি থাকে।
  • পুকুরের পানির গভীরতা থাকতে হবে জিরো পয়েন্ট 75 মিটার সুবিধাজনক
  • যে পুকুরটিতে মাস উৎপাদন করবেন সেই পুকুরটা অবশ্যই যেন খোলামেলা অবস্থানে হয় এবং সেই পুকুরের চারপাশে যেন গাছপালা না থাকে পুকুরে আলো-বাতাস প্রবেশ করলে পুকুরের মাছ অতি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়।
  • সব সময় চেষ্টা করবেন পুকুরের তলদেশে যেন কাদামাটি না থাকে কারণ পুকুরের তলায় কাদার পুরুত্ব বেশি থাকা ঠিক নয় এতে মাছের গ্যাস ফর্ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যে পুকুরটা নির্বাচন করবেন সে পুকুরটি বেশি বড় কিংবা বেশি ছোট আকারের নয় যেমন 20 থেকে 25 শতক হলেই যথেষ্ট তাহলে আপনি মাছ উৎপাদনকে মাছ বিক্রি করে অনেক আরাম পাবেন।

মাছ চাষে পুকুরের পানির গুনাগুন

আপনি যদি মাছ চাষ করেন তাহলে আপনার অবশ্যই পুকুরের পানির গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে তা না হলে আপনার মাছের বৃদ্ধি ভালোবাসবে না কিংবা গ্রোথ ভালো আসবেনা। মাছ খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ অনুকূল থাকা দরকার। আজকে আপনাদের প্রাণীর দুটি গুনাগুন সম্পর্কে বলবো।

  • ভৌত গুনাগুন
  • রাসায়নিক গুনাগুন

ভৌত গুনাগুন

  1. গভীরতা: আপনি যে পুকুরে মাছ চাষ করবেন সে পুকুরের গভীরতা খুব বেশি হওয়া যাবেনা ।কারণ খুব বেশি গভীরতা হলে পুকুরে সূর্যের আলো পানির গভীরে পৌঁছাতে পারবে না। ফলে অধিক  মাছ প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্য তৈরি করতে পারবে না এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।আবার অল্প গভীর পুকুর নির্বাচন করা যাবে না কারণ গৃীষ্ম কালে পুকুরের পানি গরম হয়ে মাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে।
  2. তাপমাত্রা: তাপমাত্রার উপরে মাছের বৃদ্ধি অনেকাংশে নির্ভর করে। যেমন শীতকালে মাসের বৃদ্ধি কম হয় ।যার কারণ হচ্ছে তাপমাত্রা ।  তাপমাত্রা 20 থেকে 30 সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো হয়।

রাসায়নিক গুনাগুন

দ্রবীভূত অক্সিজেন: পুকুরের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাছ চাষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ ফাইটোপ্লাঙ্কটন ও উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরি করে পুকুরের পানিতে দ্রবীভূত হয় তা মাসের জন্য খুবই উপাদেয় খাবার। যার কারণে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এর সাহায্যে গ্রোথ ভালো হয়।

পরিশেষে একটি কথাই বলবো আমরা আপনাদের জন্য একটি আদর্শ পুকুরের তৈরি করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার  বা যে তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার সে সকল তথ্য শেয়ার করেছি। আপনাদের যদি আরও কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *