মুজিববর্ষে গাছ রোপন পরিবেশ সংরক্ষণ উত্তর
সম্মানিত পাঠক আমার সালাম নিবেন আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা কথা বলবো মুজিববর্ষে গাছ রোপন পরিবেশ সংরক্ষণ উত্তর সম্পর্কে। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত এবং মুজিববর্ষের মাধ্যমে কিভাবে গাছ রোপন কার্যক্রম শুরু হলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি আপনারা আমাদের সাথে যুক্ত থাকবেন এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আরো পড়ুন:
বিষয়বস্তু
- মুজিববর্ষের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- মুজিববর্ষে গাছ লাগান ও পরিবেশ বাঁচান
মুজিববর্ষে সংক্ষিপ্ত বিবরণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 1920 সালে 17 ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাজার 1952 সালের ভাষা আন্দোলনের 1966 সালের ছয় দফা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার1970 সালের সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নিয়েছিলেন।1971 সালে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে একখণ্ড বাংলাদেশের পতাকা স্বাধীন করে নিয়ে আসে।
আরো পড়ুন: প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বাংলাদেশের একজন বীর নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমরা তাকে সব সময় স্মরণ করি। তাঁর আদর্শ আমরা হৃদয় লালন করি। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক নেতৃত্ব আজও আমরা পালন করি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত বছরে করোনার প্রভাব আমাদের জাতি এবং প্রকৃতির উপর প্রচুর চাপ গিয়েছে। যার ফলে পৃথিবীর বিশ্ব নেতারা পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণে দুর্যোগের সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উপলক্ষে প্রায় এক কোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান কে উপলক্ষ করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারি বেসরকারি শায়ত্ব সাসিত সকল প্রতিষ্ঠান শত শত গাছ লাগিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আমলীগের বিষয়ক সম্পাদনকারী শাখা মুজিব বর্ষ কে সামনে রেখে সারা বছরই অনবরত গাছ লাগিয়ে যাচ্ছে। গাছ হচ্ছে মানুষের প্রাণ গাছ না থাকলে এই পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে ।সেই প্রাণ কে রক্ষা করার জন্য মুজিববর্ষের অবদান বাঙালি জাতি তাদের বুকে ধরে রেখেছে।
আমাদের দেশে প্রায় 2.6 মিলিয়ন হেক্টর বনাঞ্চল রয়েছে। দেশে মোট ভূমির প্রায় 17 দশমিক 4 শতাংশ বনাঞ্চল। জিডিপিতে বনাঞ্চলের অবদান প্রায় 3 শতাংশ। বাংলাদেশের কৃষি সংস্থার মতে আমাদের দেশে প্রায় প্রতি বছর 2600 হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ থাকতে হলে 25 শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত। এভাবে গাছ বন-জঙ্গলে ধংশ হলে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হীনতার দেখা দিতে পারে ।যার ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হবে।এতে পৃথিবীর নিচু জমি গুলো পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: বানৌজা শেখ মুজিব খিলক্ষেত ঢাকা-নিউস ডেস্ক
মুজিববর্ষে গাছ লাগান ও পরিবেশ বাঁচান
আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি স্মরণে প্রতিবছর অসংখ্য গাছ লাগিয়ে থাকি। এর ফলে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য অনেক ভালো থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিবছর 2600 বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশ আস্তে আস্তে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হীন হয়ে পড়বে।যার ফলে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে।তার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালু করেছে। যাতে আমাদের এই দেশটি ফুলে ফুলে ভরে যায় এবং আমাদের দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে।
বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে বানায়ন ধ্বংসের পাশাপাশি কলকারখানা অপরিকল্পিত নগরায়ন লাগামহীন বেড়ে চলেছে। যার ফলে অনবরত গ্রিনহাউস গ্যাস, কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রেট অক্সাইড অন্যান্য দূষিত উপাদান বায়ুমন্ডলে বেড়ে চলেছে।যার ফলে ভূপৃষ্ঠের মানুষ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আগামী 10 বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে এন্টার্কটিক অঞ্চলের বরফখণ্ড গলে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে।আশঙ্কা করা যাচ্ছে 2050 সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় 11 শতাংশ পানিতে চলে যাবে।এসকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে আমাদের সবাইকে একসাথে সঙ্গবদ্ধ হয়ে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে আস্তে আস্তে এ পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
সম্মানিত পাঠক আমার এই লেখাটির মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন বিষয়ের জানার থাকলে আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ করুন আমরা তৎক্ষণাৎ তা আমাদের সাইটে আপলোড করে দিব।