Skip to content
Home » ম দিয়ে ছেলেদের আধুনিক সুন্দর ৪০০ ইসলামিক নাম

ম দিয়ে ছেলেদের আধুনিক সুন্দর ৪০০ ইসলামিক নাম

ম দিয়ে ছেলেদের আধুনিক সুন্দর ৪০০ ইসলামিক নাম

ম দিয়ে ছেলেদের আধুনিক সুন্দর ৪০০ ইসলামিক নাম

ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক পোস্টে ভিজিট করেছেন। আজকে এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নামের তালিকা। পৃথিবীতে মানুষ কোন ধর্মের অনুসরণ করে তা চিনতে গেলে তার নামই যথেষ্ট। তার নাম শুনলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন সে কোন ধর্মের অবলম্বী। আরব দেশে তারা কিছুসংখ্যক নাম এদিকসেদিক করেই নাম রেখে দেয় কিন্তু বাংলাদেশের ছেলেরা তাদের ইসলামিক নাম রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিন্নতা। তাই আমাদের দেশের মুসলমানেরা চেষ্টা করেন ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য বর্ণ ভিত্তিক সুন্দর নাম রাখার জন্য। ত্যাজ্য সকল মুসলিম ভাইয়েরা ম দিয়ে তাদের ছেলেদের ইসলামিক নাম খুঁজতেছেন তারা আমাদের এই পোষ্টটি খুব গুরুত্ব সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনি ম দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর নাম পেয়ে যাবেন।ম দিয়ে ছেলেদের আধুনিক সুন্দর ৪০০ ইসলামিক নাম নিচে দেওয়া হলো।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলের পিতা মাতার নাম রাখতে গিয়ে প্রথমে যে ভুলটি করে তা হচ্ছে অন্য জনের নাম অনুকরণ করে। যদি আপনি ম দিয়ে নাম রাখতে চান তাহলে গুগলে সার্চ করলে আপনি ম দিয়ে অনেক ইসলামিক নাম পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে আছে তারা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার লোকদের নামের সাথে মিলিয়ে রাখে। কিন্তু ইসলামে এ ধরনের কোনো বিধান নেই। আপনি আপনার ছেলে কিংবা মেয়ে ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী ইসলামিক সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে সেগুলো রাখতে পারেন। যারা এ ধরনের চিন্তাভাবনা করতেছেন যে ইসলামিক নীতি অনুযায়ী নাম রাখবেন তারা সঠিক পোস্টে ঢুকেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর ইসলামিক নাম তালিকা শেয়ার করব।

অর্থসহ ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম

ম দিয়ে হাজারো নাম ইন্টারনেটে রয়েছে। কিন্তু সেখানে কতগুলো ম দিয়ে ইসলামিক নাম রয়েছে তা কেউ সঠিক হিসাব বলতে পারবোনা। আজকে আপনাদের আধুনিক কিছু ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নামের তালিকা শেয়ার করব। যেগুলো আপনার আগে কোথাও দেখেনি। নিচের নাম গুলো খূব মনযোগ সহকারে পড়বেন তাহলেই আপনি আপনার পছন্দের নাম কি পেয়ে যাবে।

⇒মুফীদুল ইসলাম =  ইসলামের জন্য কল্যাণকারী।

⇒মাকসুদুল ইসলাম = ইসলামের উদ্দেশ্য।

⇒মনীরুল ইসলাম =  ইসলামের জন্য আলোকোজ্জ্বল ।

⇒মাকসুদ = ভালো উদ্দেশ্য।

⇒মুয়ীজ =অতি সম্মানিত।

⇒মাজেদ =  সম্মানিত।

⇒মোহসেন = উপকারি।

⇒মুনাওয়ার আখতার =  অতি দীপ্তিমান তারা।

⇒মানসুরুল হক =  সত্যের জন্য সাহায্য প্রাপ্ত।

⇒মাবাহুল = সুরমা চোখ।

⇒মাসুম =খুব নিষ্পাপ।

⇒মুনেম = অতি দয়ালু।

⇒মুস্তফা ওয়াদুদ =  পূর্ব থেকেই মনোনিত বন্ধু।

⇒মুস্তফা ওয়াসিফ =  গুণ বর্ণনাকারী।

⇒মুশতাক আবসার = আগ্রহী দৃষ্টি।

⇒মুবারক = শুভ কোনো কিছু।

⇒মান্নান =  অনুগ্রহকারী

⇒মায়মুন =  অতি সৌভাগ্যবান।

⇒মামদূহ = অতি প্রশংসিত।

⇒মোহসেন =  উপকারি।

⇒মুসলেহ = সংস্কারক।

⇒মুসাররেফ = রূপান্তরকারী।

⇒মুস্তফা আনজুম = মনোনিত তারা।

⇒মুকলেহ =  কামিয়ার।

⇒মাকবুল =গ্রহিত জনপ্রিয়।

⇒মুকাররাম =  অতি মর্যাদাবান।

⇒মুজতবা রাফিদ = মনোনিত প্রতিনিধি।

⇒মোসাদ্দেক হাবিব = একজন প্রত্যয়নকারী বন্ধু।

⇒মোহসেন আসাদ =  একটি উপকারি সিংহ ।

⇒মুস্তফা আশহাব =  মনোনিত ভরি।

⇒মানিক =  রত্ন।

⇒মানিক আহবাব =  রত্ন বন্ধু বা দোস্ত।

⇒মোসাদ্দেক হাবিব =  প্রত্যয়দানকারী দোস্ত বা বন্ধু।

⇒মোসাদ্দেক হালিম =  প্রত্যয়দানকারী দোস্ত।

⇒মুজতবা আহবাব = মনোনীত দোস্ত বা বন্ধু।

⇒মুয়ী মুজিদ =  একজন সম্মানিত লেখক।

⇒মুয়ীজ =অতি সম্মানিত।

⇒মুজাহিদ আহনাফ = অতি সংযমশীল ধর্মবিশ্বাসী।

⇒মুনির =  দ্বীপ্তিমান।

⇒মনসুর =  সেরা বিজয়ী।

⇒মুনয়িম =দানকারী।

⇒মান্নান =  আল্লাহর একটি নাম।

⇒মামদূহ =  বেশি প্রসংশিত।

⇒মুনতাজ = বেশ চমৎকার।

⇒মুনিব =অতিরিক্ত অনুতাপকারী।

⇒মালফাআত = সফর।

⇒মনসুর মুইজ =  বিজয়ী বন্ধু।

⇒মুস্তফা ফাতিন = আল্লাহ মনোনিত সুন্দর।

⇒মুস্তফা হামিদ =  মনোনিত প্রশংসাকারী।

⇒মায়মুন = সৌভাগ্যবান।

⇒মুস্তাফা =মনোনীত।

⇒মাশহুদ = বর্তমান।

⇒মুশফিক = স্নেহশীল।

⇒মোশাররফ =  সম্মানিত ।

⇒মাজেদ =অভিজ্ঞ।

⇒মুস্তফা জামাল =  মনোনিত।

⇒মাহবুবুর রহমান =  আল্লাহর/করুণাময়ের প্রিয়পাত্র।

⇒মুসলেহ উদ্দিন =  ধর্মের সংস্কারক।

⇒মুশফিকুর রহমান =  পরম দয়ালু অথবা অতিরিক্ত স্নেহশীল।

⇒মাহমুদ = যার বিজয় প্রশংসনীয়।

⇒মিরাজ =সিঁড়ি।

⇒মুঈন =  সাহায্যকারী হিসেবে পরিচিত।

⇒মুগীর =নবীর একজন সাহাবীর নাম।

⇒মোফাজ্জল =  উন্নত।

⇒মুতাসাল্লিমুল হক = প্রশাসক।

দুই শব্দের ম দিয়ে ইসলামিক নাম

  • মাসুনুর রহমান =  নিরাপদ এবং দয়াবান।
  • মাজতাবা রফিক = ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
  • মাহাতাব আনজুম =চাঁদ এবং তারা।
  • মাজতাবা রফিক = ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
  • মুস্তফা নাদের = মনোনীত প্রিয়।
  • মুস্তফা রাফিদ =  মনোনীত প্রতিনিধি।
  • মুতিউর রহমান = আল্লাহর অনুগত।
  • মিরাজুল হক = সর্ব-সত্যের সিঁড়ি।
  • মুবারক করিম = অনুগ্রহ পরায়ন।
  • মুতাসিম ফুয়াদ =  দৃঢ়ভাবে সংকল্পকারী হৃদয়।
  • মানসুর আহমদ =  সাহায্য প্রাপ্ত প্রশংসাকারি।
  • মুসাদ্দিকুল ইসলাম = ইসলামের প্রতি সত্যায়নকারী।
  • মুসতাফিজুর রহমান = উপকার লাভকারী।
  • মুজাহিদুল ইসলাম =  ইসলাম রক্ষার জন্য জিহাদকারী।
  • মানহাজুরুল হাসান = সুন্দর।
  • মুনযিরুল হক =  সত্যের প্রতি ভীতিপ্রদর্শন কারী।
  • মিনহাজুদ্দীন =ইসলামের প্রশস্ত রাস্তা।
  • মুশতাক ফুয়াদ = অতি আগ্রহী হৃদয়।
  • মুফীদুল ইসলাম = ⇒ ইসলামের জন্য কল্যাণকারী।
  • মাকসুদুল ইসলাম = ইসলামের উদ্দেশ্য।
  • মনীরুল ইসলাম =  ইসলামের জন্য আলোকোজ্জ্বল ।
  • মিফতাহুল ইসলাম = পবিত্র ইসলামের চাবি।
  • মুনাওয়ার মিসবাহ =  অতি প্রজ্জ্বলিত বাতি বা প্রদীপ।
  • মুঈন নাদিম = সাহায্যকারী ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
  • মুস্তাফা তালিব =  মনোনীত অনুসন্ধানকারী।
  • মুর্শেদুর খায়ের =  উত্তম গুরু।
  • মকবুল হোসাইন =  সবার দ্ধারা স্বীকৃত সুন্দর।
  • মাহদী হাসান = সত্য, কল্যাণ ও সুন্দর পথপ্রাপ্ত।
  • মুস্তাকিম বিল্লাহ =  আল্লাহকে পাওয়ার সহজ-সরল পথ।
  • মামুনুর রশীদ = সবচেয়ে নিরাপদ পথ প্রদর্শক।
  • মিনহাজুল আবেদীন =  সমস্ত ইবাদত কারীদের প্রশস্থ রাজপথ।
  • মোয়াজ্জম হোসাইন =সুন্দর।
  • মাসরূর আহমদ = প্রশংসিত সুখী।
  • মুনাওয়ার  মাহতাব =  উজ্জ্বল দীপ্তিময় চাঁদ।
  • মুস্তাফা মুজিদ = গ্রীহিত আবিষ্কারক।
  • মুস্তাফা রাশিদ = পথ প্রদর্শক।
  • মুজতাবা রাফিদ = সিলেক্টেড প্রতিনিধি।

ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম রাখবেন?

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশ সহ আরো বেশ কয়েকটি ইসলামিক দেশের মানুষ তারা সেলিব্রেটিদের নামের সাথে তাদের ছেলেদের নাম রাখে। এই বিষয়টা খুবই লজ্জাজনক। কারণ যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তারা ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক তাদের ছেলে ও মেয়েদের নাম রাখতে হবে। তাহলে আপনি ইসলামের কথা রাখলেন। আপনি যদি ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী নাম রাখেন তাহলে আপনাকে খুব সহজেই একজন মানুষ চিনতে পারবে যে আপনি কোন ধর্মের অনুসারী।  আখেরাতেও আপনি যদি একজন নবী রাসুলের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখেন তাহলে আল্লাহ পাক আপনাকে নামের উসিলায় কিছুটা পাপ মুক্ত করে দিবে। তার জন্য আমাদের সকলেরই উচিত ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান ছেলে ও মেয়েদের নাম রাখা। তবে তাদের নাম রাখা ব্যক্তিগত বিষয় তাদের নিজেদেরই। কিন্তু ইসলামিক শরীয়ত অনুসরণ করলে সে ক্ষেত্রে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী ছেলে ও মেয়েদের নাম রাখা উত্তম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *