শবে মেরাজ কবে ২০২২-শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত,সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা, আমার সালাম নিবেন আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আজকের বিষয় হচ্ছে শবে মেরাজ কবে 2022 শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে। যদি আপনি শবে মেরাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আপনি বিস্তারিত বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
শবে মেরাজ কি?
আমাদের দেশে অনেক মুসলমান ভাই বোন আছে যারা শবে মেরাজ কি এবং এই দিনের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়। কারণ তারা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জন নিয়ে ব্যস্ত। শবে মেরাজের দিন রাতে নামাজ পড়তে হবে এতোটুকুই তারা জানে। কিন্তু এই শবে মেরাজের ইতিহাস তারা জানে না। আজকে আমরা আপনাদের শবে মেরাজ এর কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সবে অর্থ রাত্রি এবং মেরাজ অর্থ আরোহন। অর্থাৎ শবে মেরাজ মানে স্বর্গারোহণ এর রাত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দর্শন লাভ করেছিলেন। সেইসাথে তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে তাঁর বান্দাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। শবে মেরাজের রাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনের একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাত। এই রাতে মুসলমানরা সারারাত আল্লাহর ইবাদত করে থাকেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী কি-ইতিহাস হাদিস গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে মেরাজ’ বলা হয়। শবে মেরাজ কথাটি আরবি থেকে এসেছে। শবে মানে রাত, মেরাজ মানে ‘ঊর্ধ্ব গমন’; শবে মেরাজ অর্থ ‘ঊর্ধ্ব গমনের রাত’।এ রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হযরত জিব্রাঈল (আ.) এর সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব। বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মোস্তাহাব। ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেয়তর।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, এ রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো; কেন না, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন; কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)।
দুই রাকাতের নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।শবে মেরাজের নিয়ত অন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজের নিয়ত করবেন।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মেরাজের রাতে নফল ইবাদত করো ও দিনে রোজা পালন করো।এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজ-এর নফল রোজা তো রয়েছেই। যা আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন।