শেখ রাসেলের প্রাথমিক জীবন
শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। শেখ রাসেলের অন্য ভাইবোনদের নাম হল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা। তিনি শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শেখ রাসেল। দুই কন্যা তিন পুত্র কন্যা দুইজন বেঁচে আছেন একজন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ।তিন পুত্র শেখ কামাল শেখ জামাল ও কনিষ্ঠতম শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল 1975 সালের 15 আগস্ট বাবা-মার সঙ্গে।
শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড
1975 সালের 15 আগস্ট প্রসিদ্ধ একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি 32 নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং সেখানে একটি হত্যাকাণ্ড চালায়। সে হত্যাকাণ্ডে নিহত হয় শেখ মুজিব ,শেখ জামাল, শেখ কামাল, এবং তার ছোট ছেলে শেখ রাসেল। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন “আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও”।ব্যক্তিগত কর্মচারী এএফএম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে।
রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিল যে ‘আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব’। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, ‘চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি।