ঢাই মাছ পিকচার,ছবি,ফটো,ইমেজ । এই মাসটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে ।বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানুষ এই মাছটিকে চিনে না। যদি আপনি এই মাছ সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়বেন। কারণ আজকে আমরা এই মাস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। করবো শেষ কেন এই মাস বিলুপ্তি সে বিষয়ে আলোচনা করব।
এটি একটি মাংসাশী মাছ যেটি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জীব যেমন: মলা,ঢেলা ও পুঁটি মাছ প্রভৃতি আহার হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।ঢাই মাছ বা শিলং মাছ হচ্ছে ক্যাটফিস জাতীয় স্বাদু ও স্রোতস্বিনী নদীর আঁশবিহীন রূপালী রঙের মাছ।
ঢাই মাছ পিকচার,ছবি
এখন আমরা আপনাদের সাথে এ মাছটি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের কিছু ছবি শেয়ার করব। যাতে করে আপনারা খুব সহজেই মাছটিকে যেকোনো জায়গায় দেখলে চিনতে পারেন। এবং যদি তাজা অবস্থায় এই মাছ পান তাহলে অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখবেন। কিংবা নিরাপদ জায়গায় মাছটিকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে দিবেন।
ঢাই মাছ বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান,নেপাল এর বিলুপ্ত প্রায় দূষণ সংবেদনশীল মাছ। এটি রূপালি রঙের এবং পাখনা গুলো লাল রঙের হয়। এটি লম্বায় ১৮৩ সে.মি.(৭২ ইঞ্চি) এবং ওজনে ৩-১০ কেজি হয়। অন্যান্য ক্যাটফিসের তুলনায় ডিম কম দেয় এবং বর্ষায় প্রাপ্ত বয়স্করা প্রজননের জন্য ছোট নদী থেকে বড় নদীতে চলে আসে। এটি একটি দূষণ নির্দেশক মাছ।বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
এটি পানির ১-১০ মিটার গভীরতার মধ্যে বিচরণ করে।এটি অক্সিজেন সমৃদ্ধ নদী গুলোতে থাকে।দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে দিন দিন এই মাসের বিলুপ্তি ঘটছে। এই মাছটিকে যদি আমরা বাঁচাতে চায় তাহলে অবশ্যই নদ-নদী খাল-বিল আমাদের পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ কম অক্সিজেন যুক্ত পানিতে মাছ গুলো বেঁচে থাকতে পারেনা।
পরিশেষে একটি কথাই বলবো যদি আপনারা এই মাছটি কোথাও দেখতে পান তাহলে অবশ্যই মৎস্য অধিদপ্তর এর সাথে যোগাযোগ করবেন। সেইসাথে মাছটি সংরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। এভাবে যদি এই মাছগুলো বিলুপ্তির পথে চলে যায় তাহলে আমাদের দেশে একটি বিরল প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাবে।