১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ, কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়? সম্পূর্ণ ইতিহাস,সম্মানিত ভিজিটরস, সবাইকে জানাই 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। 26 শে মার্চ এই দিনটির ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কিন্তু তারপরেও বর্তমান সময়ের যে তরুণ-তরুণীরা রয়েছে কিংবা বর্তমান সময়ের যে যুবসমাজ তারা অনেকেই এই 26 শে মার্চের ইতিহাস জানে না কিংবা জানার চেষ্টাও করে না। তারা শুধু এতোটুকুই জানে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এই দিনটি সরকারি ছুটি। কিন্তু তারা এই দিনটির নিগূঢ় রহস্য এবং এই দিনের ইতিহাস বিচার বিশ্লেষণ করতে চায়না।
যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে একসময় আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম তাদের কাছে বাংলাদেশের যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে সেগুলো আড়পাড়া মনে রাখবে না। তাই আজকে আপনাদের সাথে 26 শে মার্চের আন্তর্জাতিক স্বাধীনতা দিবস এর সম্পূর্ণ ইতিহাস এবং এই স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয় সে সকল বিষয় সুন্দর একটি বক্তব্য আপনাদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে বর্তমান সময়ের তরুণ সমাজ তারা এই ২৬ শে মার্চের ইতিহাস পড়ে এ দেশকে ভালোবাসি এবং এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় সে প্রত্যাশায় শুরু করতেছি।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ২০+টি শক্তিশালী উক্তি এস এম এস বাণী
২৬ শে মার্চ, কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়?
আজকে আমরা আপনাদের সাথে স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ের তরুণ সমাজের প্রায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করব। আমি তাদের বলব আপনারা প্রথমে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস পড়বেন তারপর প্রশ্ন করবেন।
১৯৭১ সালের 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কিভাবে বাঙালি জাতির যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল হয়তোবা আপনারা সবাই সেই ইতিহাসটা জানেন। হাজারো বাঙালি নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলার মাটি স্বাধীন করে এবং লাল সবুজের পতাকা রুপ পায়। আমাদের এই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় 26 শে মার্চ। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই কাল রাতের কথা 25 শে মার্চের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চালিয়েছিল হৃদয়বিদারক আমাদের মনে পড়ে যায়।
ইতিহাস
১৯৭১ সালের মার্চে পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদে আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল। 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হাজার 1971 সালের 25 শে মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালায়। এই রাতটিকে কাল রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ এই রাতেই পশ্চিম পাকিস্তানীরা নিশংস ভাবে গণহত্যা চালায়। অপারেশন সার্চলাইট ১৯৭১ সালের 25 মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপরিকল্পিত গণহত্যা চালায় ।
26 শে মার্চ দিনটি আসলে আমাদের যেমন আনন্দ লাগে ঠিক তেমনি 25 শে মার্চ এর কাল রাতের কথা মনে হলে আমাদের শোকের ছায়া নেমে আসে। তারপরও দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। আমরা সেই 26 শে মার্চের বঙ্গবন্ধুর আহবানে সবাই দেশরক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যার ফলে আমরা স্বাধীন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এর ফলে আমরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা যদি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়তো তাহলে হয়তোবা আমরা এই স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। তাদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ছবি পিকচার ফটো ২০২২
26 শে মার্চ আন্তর্জাতিক স্বাধীনতা দিবস। এ দিবসটি কেন পালন করা হয় এবং এই দিবসের ইতিহাস আমরা উপরে আলোচনা করেছি। যারা 26 শে মার্চের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয় তাদের অনুরোধ করবো আপনারা উপরে যে ইতিহাসটি দেয়া হয়েছে সেটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং তার হৃদয়ে ধারণ করবেন। তাহলে আপনি একজন দেশ প্রেমিক এবং এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি উৎসাহ পাবে।
এ দেশকে স্বাধীন করার পিছনে অনেক মানুষের অবদান রয়েছে। সেগুলো ইতিহাস না পড়লে জানা যায় না। আজকে আমরা শুধু 26 শে মার্চের ইতিহাস কি তুলে ধরেছি। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চেয়ে ইতিহাস রয়েছে সেই ইতিহাসটি যদি আপনারা পর্যাচলনা করেন তাহলে বোঝা যায় যে এদেশকে রক্ষার্থে প্রথম আনুশের প্রাণ গিয়েছে কত মা-বোনের ইজ্জত গিয়েছে। তারপরও তারা পিছপা হয়নি সাহসের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানীদের পরাজিত করে এই দেশকে স্বাধীন করেছে তাদের জানাই সালাম।