এ পি জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী pdf-উইংস অফ ফায়ার
এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী সম্পর্কের যে বইটি লেখা হয়েছে তার নাম হচ্ছে উইংস অফ ফায়ার। আমরা অনেক ভক্ত আছি যারা এ পি জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। আজকে আপনাদের এ পি জে আবদুল কালামের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা এবং বিজ্ঞানী হিসেবে পেশা জীবন ও তার মৃত্যু কত সালে হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে এ পি জে আব্দুল কালাম এর আত্মজীবনী সম্পূর্ণ জানতে পারবেন।এ পি জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী pdf-উইংস অফ ফায়ার নিচে দেওয়া হলো।
পরিচ্ছেদসমূহ
- প্রথম জীবন ও শিক্ষা
- জন্ম-মত্যু
- আত্মজীবনী pdf-উইংস অফ ফায়ার
- বিজ্ঞানী হিসেবে পেশাজীবন
এ পি জে আব্দুল কালামের প্রথম জীবন ও শিক্ষা
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ পি জে আব্দুল কালাম। এজিপি আব্দুল কালাম এর পিতার নাম ছিল জয়নুল আবেদিন এবং তার মা তার নাম ছিল অশিয়াম্মা। তাঁর পিতা ছিলেন একজন নৌকা মালিক এবং মাতা ছিলেন গৃহবধূ। তার বাবা অত্যন্ত গরিব ছিলেন। পরিবারের হাল ধরতে খুব ছোটো বয়সে পেকে পরিবারের বোঝা মাথায় নিতে হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত শেষে তার বাবাকে সাহায্য করার জন্য তিনি সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেন। বিদ্যালয় তেমন তিনি ভালো ছাত্র ছিলেন না। তবে তিনি বুদ্ধিমত্তা ও কঠোর পরিশ্রমে ছিলেন। তবে তার বিদ্যা অর্জনের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়তেন এবং অংক করতেন।
রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর কালাম তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ’স কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে সেই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন।১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে চলে আসেন। এখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে তিনি বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা করেন।
আরো পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী কি-ইতিহাস হাদিস গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শেখ রাসেলকে নিয়ে উক্তি অনুপ্রেরণা ও জাগরণে শেখ রাসেল
এ পি জে আব্দুল কালামের মৃত্যু
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জুলাই , সোমবার,মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যা ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তার মৃত্যু ঘটে।
বিজ্ঞানী হিসেবে পেশাজীবন
তিনি ১৯৬০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার এরোনটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এস্টব্লিশমেন্টে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন।তিনি ১৯৬৩-৬৪ সালে নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টার, গোডার্ড স্পেশ ফ্লাইট সেন্টার এবং ওয়ালোপ্স ফ্লাইট ফেসিলিটি পরিদর্শন করেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের মাঝে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) এবং এসএলভি গড়ার চেষ্টা করেন। তিনি এই কাজে সফল হয়েছিলেন।১৯৬৯ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় বদলি হন।কালাম ১৯৬৫ সালে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় স্বাধীনভাবে একটি বর্ধমান রকেট প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি সরকারে অনুমোদন লাভ করেন এবং আরও কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ে এই প্রোগ্রামের ব্যপ্তি ঘটান।
ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি
উপরাষ্ট্রপতি কৃষ্ণ কান্ত
প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী
মনমোহন সিংহ
কাজের মেয়াদ ২৫ জুলাই, ২০০২ – ২৫ জুলাই, ২০০৭
ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াত
পূর্বসূরী কে. আর. নারায়ণন
মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ
উত্তরসূরী প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জীবিকা অধ্যাপক,লেখক,বিমান প্রযুক্তিবিদ
জন্ম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আবদুল কালা ১৫ অক্টোবর ১৯৩১
রামেশ্বরম, রামনাথস্বামী জেলা, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ২৭ জুলাই ২০১৫ (বয়স ৮৩)
শিলং, মেঘালয়, ভারত
ধর্ম ইসলাম
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩১-১৯৪৭)
ভারতীয় (১৯৪৭-২০১৫)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সেন্ট জোসেফ’স কলেজ, তিরুচিরাপল্লি
মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি