চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় pdf download
সম্মানিত পাঠক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তিনি হলেন একজন বাঙালি লেখক ও গল্পকার। তিনি হলেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক। আজকে আমরা আলোচনা করব শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস চরিত্রহীন সম্পর্কে। তার অনেক ভক্ত এই উপন্যাসটি পিডিএফ সংগ্রহ করতে চায় কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দাঁড়ায় পিডিএফ এর ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়েছে।
আজকে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে তার বিখ্যাত উপন্যাস টি চরিত্রহীন উপন্যাস পিডিএফ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তার আগে এই বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর সংক্ষিপ্ত জীবনী আপনাদের সাথে আলোচনা করব। চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় pdf download নিচে দেওয়া হলো।
নাম শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ছদ্মনাম অনিলা দেবী
ধরন উপন্যাস, ছোটগল্প
জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬
দেবানন্দপুর, ব্যান্ডেল, হুগলি জেলা, প্রেসিডেন্সি বিভাগ, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
মৃত্যু জানুয়ারি ১৬, ১৯৩৮ (বয়স ৬১)
কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বিভাগ, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
পেশা লেখক
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারতীয়
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত ব্রিটিশ ভারতীয়
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি শ্রীকান্ত, দেবদাস
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ডিলিট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), জগত্তারিণী পদক (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)
দাম্পত্যসঙ্গী শান্তি দেবী, হিরন্ময়ী দেবী
পরিচ্ছেদ সমূহ:
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাজীবন
- চরিত্রহীন উপন্যাসের সারাংশ
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস PDF
আরো পড়ুন: প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাজীবন
আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর শিক্ষা জীবন সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আজকে আপনাদের সাথে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর শিক্ষা জীবন সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ধারনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যাতে আপনারা এই বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং লেখক এর শিক্ষা জীবন সম্পর্কে সুন্দর একটি ধারণা জানতে পারেন।
শরৎচন্দ্রের পাঁচ বছর বয়সকালে মতিলাল তাকে দেবানন্দপুরের প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন, যেখানে তিনি দু-তিন বছর শিক্ষালাভ করেন। এরপর ভাগলপুর শহরে থাকাকালীন তার মামা তাকে স্থানীয় দুর্গাচরণ বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রবৃত্তিতে ভর্তি করিয়ে দেন। এই সময় তিনি হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে দারিদ্র্যের কারণে স্কুলের ফি দিতে না-পারার কারণে তাকে এই বিদ্যালয়ও ত্যাগ করতে হয়। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মতিলাল পুনরায় ভাগলপুর ফিরে গেলে প্রতিবেশী সাহিত্যিক তথা তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষালাভের প্রতি শরৎচন্দ্রের আগ্রহ লক্ষ করে তাকে তার বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন।
চরিত্রহীন উপন্যাসের সারাংশ
তারমধ্যে কিরণময়ী চরিত্রটি চরিত্রহীন হিসেবে বেশি নির্দেশিত হয়েছে। তার পরবর্তীতে এসেছে সাবিত্রী, একটি সুন্দরী যুবতী বিধবা মহিলা। যে যাকে জোরপূর্বক বাধ্য করা হয়েছে সতীশ নামে একটি যৌগের বাড়িতে চাকরানীর কাজ করতে। সতীশ নামে যুবকটি সাবিত্রী কে ভালোবাসে অপরদিকে সাবিত্রী অতিষ্ঠ ভালোবাসে কিন্তু তাদের ভালোবাসা দুর্বোধ্য এবং কেউ কারো কাছে কখনোই প্রকাশ করে না।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস PDF
উপন্যাসের চারটি নারী চরিত্র সাবিত্রী, কিরণময়ী, সুরবালা, সরোজিনী উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র। উপন্যাসের প্রধান তিন পুরুষ চরিত্র হল সতীশ, উপেন্দ্র, দিবাকর। এই তিনজন পুরুষের জীবন এই চার নারী দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত। সাবিত্রী ও সতীশ কে উপন্যাসের শুরুতে আমরা দেখতে পাই। শ্বশুরবাড়ি থেকে জোরপূর্বক গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য বাধ্য করা হয়েছে সাবিত্রীকে।
অপরদিকে সাবিত্রী কে ছাড়া কোনো কিছুই যেন ভাবতে পারে না সতিস। কিন্তু তাদের এই অপ্রকাশিত ভালোবাসা উপন্যাসে আলো-আঁধারি রোমান্টিকতায় ভরিয়ে তুলেছে। সতীশ কে সরোজিনী ভালোবাসা এবং বিয়ে করতে চায়। সাবিত্রী সতীশের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, কারণ একজন অবিবাহিত যুবক পুরুষের বাড়িতে সে কাজ করে।