ইসলাম কি বলে-ফ্রি ফায়ার খেলা কি হারাম? আপনি কি ভাবছেন ফ্রী ফায়ার গেম খেলা কি হারাম? ইসলাম কি বলে এবিষয়ে। মূলত ফ্রী ফায়ার হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক গেম। এই গেমে বিভিন্ন ধরনের ইসলামবিরোধী সাইন দেখা যায়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ফ্রী ফায়ার একটি জনপ্রিয় গেম। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই গেম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার ফলে দিন দিন যুব সমাজ কিংবা শিশু তরুণ বিভিন্ন বয়সের লোকেরা এই গেমের প্রতি আসক্ত হচ্ছে এবং তাদের মূল্যবান সময় বিনষ্ট করছে এবং লেখাপড়া ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে করোনার সময় সব স্কুল প্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকার কারণে উঠতি বয়সের যুবকরা এই গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি একটি গুঞ্জন শোনা যায় যে ইন্দোনেশিয়ার একটি ঘটনা দেখে মূল আলোচনা শুরু করছে। ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে মুসলিম দেশ যে দেশে অনেক তরুণ-তরুণী ফ্রী ফায়ার গেম খুব পছন্দ করে। সেখানকার একটি বড় নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছিল ফ্রী ফায়ার গেম খেলা কি হারাম নাকি হালাল? সেখানে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় সেটি হল ফ্রী ফায়ার ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ক্যাটাগরিতে পরে।
মেহেদি হাসান ব্যক্তিগত জীবন এবং খেলোয়াড়ী জীবন সকল তথ্য
Free fire গেম খেলা কেন ইসলামে হারাম
ইসলাম ধর্মে কোথাও লেখা নাই যে ফ্রী ফায়ার গেম খেলা হারাম। তবে কেন এই গেম খেলতে ইসলাম সমর্থন করে না। আজকে আমরা এই সকল নানা জটিলতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে একটি বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করব। যে তথ্যগুলো শোনার পর আপনি হয়তো বা আজ থেকে এই ফ্রী ফায়ার গেম খেলবেন না। ফ্রী ফায়ার গেম কি? এই গেমের মাধ্যমে আমরা কিংবা আমাদের ভাইবোনেরা কি শিক্ষা পায়।
মূলত ফ্রী ফায়ার গেম হচ্ছে একটি বিধ্বংসী গেম। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে তার বিপরীত পক্ষের লোককে এনিমি হিসেবে বা শত্রু হিসেবে বিবেচিত করে তাকে মেরে ফেলা। কিন্তু ইসলাম এই মৃত্যু খেলা কে সমর্থন করে না। কারন একটি শিশু যদি ছোটবেলা থেকেই এই সকল চিন্তা ধারা নিয়ে বড় হয় তাহলে সে ভবিষ্যতে কি করবে। এই কথাটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন। একটি ছোট শিশুকে যদি আপনি সুন্দর কথা কিংবা সুন্দর চরিত্রের অধিকারী করেন তাহলে সে বড় হয়ে সৎ চ্চরিত্রের চরিত্রবান হবে। আর যদি সে ছোটবেলা থেকে এ ধরনের বিধ্বংসী গেম খেলে বড় হয় তাহলে তার মাথায় এ ধরনের খারাপ চিন্তা ভাবনা সব সময় ঘুরপাক খাবে। তখন দেখবেন ছোটখাটো একটি সমস্যা হলে সে ঝগড়ার সৃষ্টি করবে এবং সেখানে মারামারি সৃষ্টি করবে। যার ফলে সমাজে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
সিয়াম আহমেদের বয়স,ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন এর সকল বায়ো ডাটা
যে সকল তথ্যসমূহ ফ্রী ফায়ার কে হারাম বলে ঘোষণা করেছে
এখন আমরা আপনাদের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করব সেগুলো হচ্ছে যে সকল তথ্য সমূহ কারণে ফ্রী ফায়ার গেম হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ফ্রি ফায়ার গেম কে হারাম ঘোষণা করার একটি কারণ আপনাদের সাথে উপরে আলোচনা করেছি। এছাড়া আরও একটি কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে। ফ্রী ফায়ার গেমের মধ্যে যে নারী ক্যারেক্টার রয়েছে সেগুলোর পোশাক অনেকটাই খোলামেলা। এছাড়াও তাদের প্রয়োজন এর স্বার্থে পোশাক ছাড়াও রাখা যায়। যেটা ইসলাম কখনো সমর্থন করেন না। এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর পোশাক রয়েছে। যে পোশাকগুলো ইসলাম সমর্থন করে না। তা ছাড়াও আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে ফ্রি ফায়ারের ম্যাপে বিভিন্ন জায়গায় আরবি লেখা এবং মসজিদের মতো চিহ্ন রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে ইসলাম ধর্মকে ছোট করার লক্ষ্যে তারা এই ধরনের প্রচারণা চালিয়েছে গেমের মাধ্যমে। এসকল কারণে বা তথ্যসমূহের কারণে ফ্রী ফায়ার গেম খেলা হারাম।
পরিশেষে একটি কথাই বলবো আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের খেয়াল রাখবেন। তারা কি করছে সে সকল বিষয়ে ধারণা না থাকলে হয়তো বা তারা পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার জন্য আপনারা সবসময় খেয়াল রাখবেন তারা যেন কখনো বিপথে চলে না যায়। কারণ ছোট একটি ভুল সারা জীবনের কান্না।