ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম। সম্মানিত পাঠক, আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম ।যারা ভাবছেন ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন কিন্তু কিভাবে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন সে বিষয়ে অবগত নয়। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। যদি আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়বেন।
বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে প্রতিবছর অসংখ্য লোক টুরিস্ট ভিসায় বেড়াতে কিংবা চিকিৎসা সেবার জন্য যেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়াতে যাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করবে সে বিষয়ে বুঝতে পারতেছেনা। কিংবা কোন ধরনের কাগজ পত্র লাগবে সে বিষয়ে জানে না। আজকে আমরা তাদের জন্য ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং দিকনির্দেশনা দরকার সেগুলো শেয়ার করব।
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম
যদি আপনি ভারতের টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জামানত রেখে যেতে হবে। যদি আপনি জামানত না রেখে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটি কার্যকর হবে না। এই সকল বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনাকে যেকোন ট্রাভেল অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। যদি আপনি সেখানে না গিয়ে ঘরে বসেই সকল তথ্য জানতে চান। তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সকল তথ্য জানতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সকল বিস্তারিত তথ্য গুলো শেয়ার করে দিচ্ছি।
ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনাকে অনলাইনে তাদের যে নীতিমালা গুলো রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিষয়গুলো রিজেক্ট হয়ে যায় এর কারণ হচ্ছে তারা সঠিক তথ্য গুলো দিতে পারেনা। অনলাইনে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য জরুরী কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে।
>>পাসপোর্ট অন্তত ৬ মাস মেয়াদ বাকি থাকতে হবে।
>>ছবির সফট কপি একই ছবি ২ বাই ২ ইঞ্চি সাইজ আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
>>ভারতের কোন একটি হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার।
>> পেশার প্রমাণ পত্র। চাকুরজীবি হলে অফিস থেকে একটা সনদ দিবেন যেটাতে লেখা থাকবে আপনি কোন অফিসে কি চাকুরী করেন এবং ভারত ভ্রমণে অফিসের কোন আপত্তি নাই। আর ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি দিবেন। অবসরপ্রাপ্ত হলে সর্বশেষ চাকুরী রিজইন লেটার/সম্পন্ন করার সনদ দিবেন।
>>সদ্য তোলা ২x২ রঙিন ছবি দিতে হবে। ছবিতে পুরো মুখোমণ্ডল দেখা যেতে হবে এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে। সদ্য তোলা বলতে তিন মাসের মধ্যে তোলা ছবিকে বুঝায়। ছবি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
>>পাসপোর্ট। অন্তত ৬ মাসের মেয়াদ বাকি থাকবে হবে এবং কমপক্ষে দুটো পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে। পাসপোর্টের যে দুটো পৃষ্ঠায় আপনার তথ্যাদি আছে সেগুলোর ফটোকপি দিবেন (পৃষ্ঠা ৩ ও ৪)। পুরণো যতগুলো পাসপোর্ট আছে সেগুলোও অবশ্যই সঙ্গে দিবেন।
>>জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পিঠের ফটোকপি। যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তবে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি দিবেন। মনে রাখবেন আপনার পাসপোর্টের তথ্যের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের তথ্যের মিল থাকতে হবে।
>>আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টে ব্যাংক থেকে ১৫০ ডলার এনডোর্স করা থাকবে। এছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট যেখানে সর্বশেষ ব্যালেন্স ২০,০০০ টাকা আছে, দিলে হবে। আর যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড এনডোর্স করা থাকে সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠায় ক্রেডিট কার্ড এনডোর্স করা আছে সে পৃষ্ঠার ফটোকপি ও ক্রেডিট কার্ডের উভয় পিঠের ফটোকপি দিলে চলবে।
>> বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে একটি প্রমাণপত্র দিতে হবে। কোন ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি হলে হবে। যেমন বিদ্যুৎ, ল্যান্ডফোন, পানি বা গ্যাসের বিল। মনে রাখবেন বিলে আপনার ঠিকানা যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই ভিসার আবেদনপত্রে দিবেন।
আরো পড়ুন:
- অনলাইনে Qatar কাজের ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২২
- Online ভিবিন্ন দেশের Visa চেক করার 60+ দেশের ওয়েব এড্রেস। নিজেই চেক করে নিন অনলাইনে ভিসা
- অনলাইনে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আই.পি.এ চেক করার নিয়ম ২০২২
- সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট দাম কত ২০২২ আপডেট
- বিমানের টিকেট চেক করার নিয়ম এবং লিঙ্ক ২০২২