চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের উক্তি ও কবিতা।সম্মানিত পাঠক, অপরাধী জীবনানন্দ চাঁদ নিয়ে কবিতা? আপনি কি জীবনানন্দের কবিতা খুঁজতেছেন? তাহলে আপনি সঠিক পোস্ট এ ভিজিট করেছেন। আজকে আমরা আপনাদের সাথে চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের কবিতা শেয়ার করব। যে কবিতাগুলো পড়লে অবশ্যই আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
অমাবস্যার অন্ধকার কাটিয়ে যখন পরিপূর্ণ চাঁদের আলো হাসে তখন সে চাঁদনী রাতে অনেক মনমুগ্ধকর হয়। এই চাঁদনী রাতের মায়ায় পড়ে অনেক কবি অনেক দার্শনিক তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনি এই চাঁদনী বিবেকানন্দের যে সুন্দর সুন্দর কবিতা গুলো রয়েছে সেই কবিতাগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার। যে কবিতাগুলো পড়লে চাঁদনী রাতের বিভিন্ন কথা মনে পড়ে যায়।
Read More>> বর্ষার দিনে কবিতা
শীতের আগমনে শীতের সুন্দর সুন্দর কবিতা ও ছন্দ
চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের রোমান্টিক কবিতা
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে প্রেম আসে। সে প্রেম বিনিময় যদি হয় চাঁদনী রাতে। তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঠিক সেরকমই এই বিশ্বের অনেক কবি মনীষী এই চাঁদনী রাতে তাদের প্রেম বিনিময় এর কথা লিখে দিয়েছে। তারা লিখে দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোমান্টিক উক্তি এবং রোমান্টিক কবিতা। ঠিক তেমনি বিবেকানন্দের চাঁদনী রাতের রোমান্টিক কবিতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে চলুন কবিতাগুলো পড়া যাক।
চাঁদিনীতে জীবনানন্দ দাশ বেবিলোন্ কোথা হারায়ে গিয়েছে,- মিশর- অসুর কুয়াশাকালো; চাঁদ জেগে আছে আজও অপলক, মেঘের পালকে ঢালিছে আলো! সে যে জানে কত পাথারের কথা, কত ভাঙা হাট মাঠের স্মৃতি! কত যুগ কত যুগান্তরের সে ছিল জ্যোৎস্না , শুক্লা তিথি! হয়তো সেদিনও আমাদেরই মতো পিলুবারোঁয়ার বাঁশিটি নিয়া ঘাসের ফরাশে বসিত এমনি দূর পরদেশী প্রিয় ও প্রিয়া! হয়তো তাহারা আমাদেরই মতো মধু-উৎসবে উঠিত মেতে চাঁদের আলোয় চাঁদমারী জুড়ে-সবুজ চরায়, সবজি ক্ষেতে হয়তো তাহারা দুপুর-যামিনী বালুর জাজিমে সাগরতীরে চাঁদের আলোয় দিগদিগন্তে চকোরের মতো চরিত ফিরে! হযতো তাহারা মদঘূর্ণনে নাচিত কাঞ্চীবাঁধন খুলে এমনি কোন্- এক চাঁদের আলোয়, মরু ‘ওয়েসিসে তরুর মুলে! বীর যুবাদল শত্রুর সনে বহুদিনব্যাপী রণের শেষে এমনি কোন্- এক চাঁদনীবেলায় দাঁড়াত নগরীতোরণে এসে! কুমারীর ভির আসিত ছুটিয়া, প্রণয়ীর গ্রীবা জড়ায়ে নিয়া হেঁটে যেত তারা জোড়ায়-জোড়ায় ছায়াবীথিকার পথটি দিয়া! তাদের পায়ের আঙুলের ঘায়েখড় খড় পাতা উঠিত বাজি, তাদের শিয়রে দুলিত জ্যোৎস্না-চাঁচর-চিকন পত্ররাজি! দখিনা উঠিত মর্মরি মধুবনানীর লতা-পল্লব ঘিরে চপল মেয়েরা উঠিত হাসিয়া,- ‘এল বল্লভ-এল রে ফিরে! -তুমি ঢুলে যেতে, দশমীর চাঁদ তাহাদের শিরে সারাটি নিশি, নয়নে তাদের দুলে যেতে তুমি- চাঁদনী-শরাব, সুরার শিশি! সেদিনও এমনি মেঘের আসরে জ্বলেছে পরীর বাসরবাতি, হয়তো সেদিনও ফুটেছে মোতিয়া-ঝরেছে চন্দ্রমল্লীপাঁতি! হয়তো সেদিনও নেশাখোর মাছি গুমরিয়া গেছে আঙুর বনে, হয়তো সেদিনও আপেলের ফুল কেঁপেছে আঢুল হাওয়ার সনে! হয়তো সেদিনও এলাচির বন আতরের শিশি দিয়েছে ঢেলে হয়তো আলেয়া গেছে ভিজা মাঠে এমনি ভূতুড়ে প্রদীপ জ্বেলে! হয়তো সেদিনও ডেকেছে পাপিয়া কাঁপিয়া কাঁপিয়া ‘সরোর শাখে, হয়তো সেদিনও পাড়ার নাগরী ফিরেছে এমনি গাগরি কাঁখে! হয়তো সেদিনও পানসী দুলায়ে গেছে মাঝি বাঁকা ঢেউটি বেয়ে, হয়তো সেদিনও মেঘের শকুনডানায় গেছিল আকাশ ছেয়ে! হয়তো সেদিনও মাণিকজোড়ের মরা পাখাটির ঠিকানা মেগে অসীম আকাশ ঘুরেছে পাখিনী ছটফট্ দুটি পাখার বেগে! হয়তো সেদিনও খুর খুর করে খরগোশ ছানা গিয়েছে ঘুরে ঘন মেহগিনি-টার্পিন-তলে-বালির জর্দা বিছানা ফুঁড়ে! হয়তো সেদিনও জানালার নীল জাফরির পাশে একেলা বসি মনের হরিণী হেরেছে তোমারে- বনের পারের ডাগর শশী! শুক্লা একাদশীর নিশীথে মণিহর্ম্যের তোরণে গিয়া পারাবত-দূত পাঠায়ে দিয়েছে প্রিয়ের তরেতে হয়তো প্রিয়া! অলিভকুঞ্জে হা হা করে হাওয়া কেঁদেছে কাতর যামিনী ভরি! ঘাসের শাটিনে আলোর ঝালরে ‘মার্টিল্ পাতা পড়েছে ‘ঝরি! ‘উইলোর বন উঠেছে ফুঁপায়ে-‘ইউ তরুশাখা গিয়েছে ভেঙে, তরুণীর দুধ-ধবধবে বুকে সাপিনীর দাঁত উঠেছে রেঙে! কোন্ গ্রীস,- কোন্ কার্থেজ, রোম, ‘ক্রবেদুর-যুগ কোন,- চাঁদের আলোয় স্মৃতির কবর-শফরে বেড়ায় মর! জানি নাতো কিছু-মনে হয় শুধু এমনি তুহিন চাঁদের নিচে কত দিকে দিকে-কত কালে কালে হয়ে গেছে কত কি যে! কত যে শ্মশান-মশান কত যে-কত যে কামনা-পিপাসা -আশা অস্তচাঁদের আকাশে বেঁধেছে আরব-উপন্যাসের বাসা! |
খালিল জিবরানের চাঁদ পূর্ণ চাঁদ শহরের ওপর সগৌরবে পূর্ণ চাঁদ উঠেছে সে-শহরের সব কুকুর চাঁদের দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে। কেবল একটি কুকুর ঘেউ দেয়নি, ভারি গলায় সে অন্যদের বলেছে, ‘ঘেউ ঘেউ করে তোমরা তার মুখ থেকে নির্জনতা খসাতে পারবে না কিংবা তোমাদের ডাকে চাঁদ পৃথিবীতে নেমে আসবে না।’ তখন অন্য কুকুরেরা ঘেউ ঘেউ থামাল, নেমে এলো ভয়ংকর নির্জনতা। কিন্তু যে-কুকুর তাদের সাথে কথা বলেছে, বাকি রাত নির্জনতার জন্য ঘেউ ঘেউ চালিয়ে গেল। মাহমুদ দারবিশের চাঁদ অবরোধ এক নারী মেঘকে বলল, আমার প্রিয়তমকে ঢেকে রেখো তার রক্তে আমার পরনের কাপড় ভিজে গেছে। তুমি যদি বৃষ্টি না হও, প্রিয় তবে বৃক্ষ হও উর্বরতায় পরিপূর্ণ, বৃক্ষ হও তুমি যদি বৃক্ষ না হও, প্রিয় তবে পাথর হও আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ পাথর হও যদি তুমি পাথর না হও, প্রিয় তবে চাঁদ হও, প্রিয় নারীর স্বপ্নের, চাঁদ হও [এ-কথাই বলেছে এক নারী তার পুত্রের শেষকৃত্যে।] নিজার কাববানির চাঁদ রুটি, মাদক ও চাঁদ পূর্বদিকে যখন চাঁদের জন্ম হয় সাদা ছাদ তখন ঘুমের ঘোরে আলোর সত্মূপের নিচে মানুষ তাদের দোকান ছেড়ে দলে দলে বেরোয় তারা চাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করবে হাতে রুটি, রেডিও নিয়ে পর্বতের চূড়ায় এবং সাথে তাদের মাদক। সেখানে তারা কল্পনা বেচাকেনা করে এবং চিত্রকল্প এবং মৃত্যু – যখন চাঁদ তাদের জীবনে আসে। এই আলোচিত চাকতি আমার জন্মভূমির কোন কাজে লাগে? নবীদের ভূমি, সরলসোজা মানুষের ভূমি, তামাক চিবোনো মানুষ কিংবা মাদকের পাইকার চাঁদ আমাদের কোন কাজে লাগে আমরা আমাদের সাহসের অপচয় করি কেবল ঈশ্বরের কাছে ভিক্ষক্ষ চাইতে বেঁচে থাকি? অলস ও দুর্বলের জন্য দেবার মতো ঈশ্বরের কী আছে? যখন তাদের জীবনে চাঁদ আসে, তা তো লাশ হয়ে যায়, এবং সন্তদের সমাধি নাড়তে থাকে এই আশায় যে তারা কিছু চালের মঞ্জুরি দেবেন, কিছু সন্তান … তারা তাদের অভিজাত মিহিন আলখাল্লা ছড়িয়ে আফিম দিয়ে তাদের আশ্বসত্ম করেন যাকে আমরা বলি ভাগ্য ও নিয়তি। … চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের উক্তিএখন আমরা আপনাদের সাথে জীবনানন্দের লিখে যাওয়া কিছু রোমান্টিক এবং সুন্দর চাঁদ নিয়ে উক্তি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যারা জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে উক্তি খুঁজতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। যদি আপনি চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের উক্তি খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত সেই চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের উক্তিটি কে যেতে পারেন। >>>প্রত্যেকেই এক একটি চাঁদ এবং সবার একটি অন্ধকার দিক আছে যা কেউ কখনও অন্যকে দেখায় না । — জীবনানন্দ দাশ >>>উজ্জ্বল তারা গুলো ছাড়া চাঁদের আলো অনেকটাই কমে যায় । — জীবনানন্দ দাশ >>>যারা চাঁদ দেখতে ভালোবাসে, তারা সুন্দর মনের অধিকারী । — জীবনানন্দ দাশ >>>চাঁদ এত সুন্দর ছিল যে সমুদ্র একটি আয়না ধরেছিল । — জীবনানন্দ দাশ >>>চাঁদ একাকী কথা বলার জন্য বন্ধু । — জীবনানন্দ দাশ >>>নরম এবং শক্ত দুটোই হতে হবে। ঠিক চাঁদ বা ঝড় বা সমুদ্র এর মতো । — জীবনানন্দ দাশ >>>আমার মনে হচ্ছে চাঁদ খুব সুন্দরী রমণী । এবং সে নিয়ন্ত্রণে আছে । — জীবনানন্দ দাশ >>>আমরা সবাই উজ্জ্বল চাঁদের মত, যদিও আমাদের অন্ধকার দিকও রয়েছে । — জীবনানন্দ দাশ >>>আমাকে বলবেন না চাঁদ আলো দিচ্ছে । আমাকে শুধু ভাঙা কাঁচে আলোর ঝলক দেখান । — জীবনানন্দ দাশ >>>আমি ভাবতে ভালোবাসি যে প্রাণী, মানুষ, উদ্ভিদ, মাছ, গাছ, তারা এবং চাঁদ সবকিছু একসাথে রয়েছে । — জীবনানন্দ দাশ >>>তাকে এবং চাঁদকে সর্বদা অন্ধকারে খেলতে পাওয়া যেতে পারে। — জীবনানন্দ দাশ >>>স্বাধীনতা, বই, ফুল এবং চাঁদের সাথে কে খুশি হতে পারে না ? — জীবনানন্দ দাশ >>>চাঁদ তার আলো দিয়ে আপনাকে সারারাত পথ দেখাবে , কিন্তু সে সর্বদা অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করে । — জীবনানন্দ দাশ >>>সর্বদা মনে রাখবেন আমরা একই আকাশের নীচে আছি, একই চাঁদ দেখছি । — জীবনানন্দ দাশ >>>আমি সর্বদা চাঁদের দিকে চেয়ে থাকি এবং মহাবিশ্বের মধ্যে এটিকে সবচেয়ে রোমান্টিক জায়গা হিসাবে দেখি । — জীবনানন্দ দাশ |
চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দের ইংরেজী রোমান্টিক কবিতা
In the moonlight
Jibanananda Das
Where Babylon is lost, – Egypt – Asura fog;
The moon is still awake, the light is pouring on the feathers of the clouds!
He knows how many stones, how many memories of the broken hat field!
How many ages, how many epochs he was jyotsna, Shukla date!
Maybe he took the flute of Pilubarwa like us that day too
Such a distant foreigner sitting on the grass floor, dear!
Maybe they are like us in the honey-festival
In the moonlight the moonlight spreads all over the green pastures, in the vegetable fields
Maybe they are on the beach at noon-Jamini Balu Jajime
Digidigante chakorera charita back in the light of the moon!
Maybe they untied the kanchibandhan danced in a whirlwind
In the light of a moon, in the desert, in the oasis, in the roots of the tree!
At the end of a long battle in the year of the enemy’s heroic youth
Who would have stood in the moonlight at such a moonlit time!
The virgin’s hero came and left, embracing the lover’s neck
They could walk along the path of the shadows in pairs!
The haystacks of their toes,
Moonlight-chanchar-chikon patraraji swayed in their shire!
The southern marble surrounds the vines of Madhubanani
The playful girls got up and laughed, – ‘El Vallabh-el re back!
-You go down, the moon of Dashmi is all night on their heads,
To shake their eyes you – Chandni-wine, wine bottle!
Even on that day, the fairy’s lamp was burning in the cloud room,
Maybe that day too, the pearls have blossomed and the chandramallipanti has fallen!
Maybe even that day the intoxicated fly got lost in the vineyard,
Maybe that day the apple flower trembled in the wind!
Maybe even on that day the forest of cardamom poured a bottle of perfume
Maybe the ghost lamp is burning in the wet field aleya!
Maybe that day also called Papia trembling ‘Sarore branch,
Maybe even on that day the citizen of the neighborhood has returned like this!
Maybe that day too, Pansi was swayed by the crooked wave,
Maybe that day also the sky was full of clouds Shakundana!
Maybe even on that day the address of the dead wing of Manikjore will be found
Infinite sky has turned with the speed of two birds fluttering!
Maybe that day also the rabbit cubs went around with hooves
Dense mahogany-turpentine-under-sand Jorda bed blowing!
Maybe even that day I was sitting alone by the blue lattice of the window
The deer of the mind has lost to you- Shashi on the edge of the forest!
Shukla went to the gate of Maniharmya on the night of Ekadashi
Priya may have sent a dove-messenger to Priya’s tare!
Olivekunje ha ha hare katache yamini bhari!
In the light of the shatin of the grass, ‘Martil leaves have fallen’, ‘Jhari!
‘The Willow Forest has sprouted-the EU branch has broken,
Sapini’s teeth are red in the chest of the young woman’s milk.
Con Greece, – Con Carthage, Rome
In the light of the moon, the graves of memory die in the journey!
I don’t know anything – I think it’s just like Tuhin under the moon
How many times – how much time has passed!
How many crematoriums, how many desires, thirsts, hopes
Astachandar sky tied to the home of the Arab novel!