মেথির ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মেথির গুনাগুন সম্পর্কে। মেতি হচ্ছে হাজারো গুণাগুণ সম্পন্ন একটি খাদ্য। এটিকে এক ধরনের ভেজোস বলতে পারেন। মেথি রয়েছে হাজারো রোগের সমাধান। আজকে আমরা কথা বলবো মেথির 15 টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। মেথিতে মূলত সবটুকু উপকার, অপকার বলতে তেমন কিছু নেই।
আমরা অনেক সময় নেটে সার্চ করে মেথির উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চাই। কিন্তু সে সম্পর্কে তেমন কোনো বিস্তারিত ধারণা খুঁজে পাইনা। যে সকল ভাই ও বোনেরা এই মেথির গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তারা সঠিক পোস্টে ভিজিট করেছেন। এ পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনি মেতের সম্পর্কে বিস্তারিত একটি খুব সুন্দর ধারণা পেয়ে যাবেন। মেথির ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিচে প্রকাশ কা হলো।
আরো পড়ুন: ত্বক ফর্সা করার সহজ ঘরোয়া উপায়
মেথি নানাবিধ উপকারিতা
মেথি শুধু একটি রান্নার মশলা নয়। এর মধ্যে রয়েছে নানাবিধ আয়ুর্বেদিক গুনাগুণ। যেগুলো শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আজকে সেই নানাবিধ গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কিভাবে মেথি খেলে আপনি উপকার পাবেন এবং মেথিতে কি কি রোগের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে সে সকল বিস্তারিত বিষয় আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- ওজন কমায়
- ক্যান্সার
- হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা
- হজম ক্ষমতা বাড়ে
- বাতের ব্যথা কমায়
- কলেস্টেরল কমায়
- কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়
- হৃদয় ভালো রাখে
- লিভার ক্ষমতা বাড়ায়
- ত্বকের জন্য মেথির উপকারিতা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারণ মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের কার্বোহাইড্রেট সুগার শোষণ করে সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফলে শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ এর মাত্রা অনেক গুন বেড়ে যায়। এ কারণে প্রতিদিন মেথি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ মেথি
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মেথি অনেক সাহায্য করে। কারণ মেথির দানার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পটাশিয়াম এবং ফাইবার যা শরীরের রক্তচাপ কমায়। আপনি যদি প্রতিদিন 1 চামচ মেথি পানির মধ্যে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে পড়ে সেকে বীজগুলোকে একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে পিষে পেস্ট বানিয়ে দিনে দুইবার খালিপেটে খান তাহলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ওজন কমায়
শরীরের ওজন কমাতে মেতের ভূমিকা অপরিসীম। এর কারণ হচ্ছে মেথির দানা রয়েছে লোহা ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি প্রোটিন ফাইবার এবং খনিজ যার ফলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি খেলে আপনার ওজন অনেক কমে যাবে।
ক্যান্সার
ক্যান্সার নিরাময় মেথির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। বর্তমানে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মেথির ব্যবহার করার ফলে ক্যান্সার রোগ অনেকাংশ কম হয়। নিয়মিত মেথি খায় তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আপনারা প্রতিদিন মেথি খাওয়ার অভ্যাস করবেন যার ফলে ক্যান্সার কোষ শরীরে থাকলে তা মারা যাবে।
হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা
মানুষের হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে মেথির অনেক ভূমিকা রয়েছে। আপনি নিয়মিত মেথি খেলে আপনার শরীরের এসিডের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। আর এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। প্রতিদিন মেথির কিছু দানা পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরের দিন সকালে খালি পেটে তা খেয়ে নেবেন এর ফলে আপনার হার্টের ব্যথা বুক জ্বালাপোড়া থাকলে তা কমে যাবে।
হজম ক্ষমতা বাড়ে
পরিমিত পরিমাণে মেথি খান তাহলে আপনার হজম শক্তি অনেক ভালো হবে। মেথির বিজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অন্যান্য হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করার গুণ রয়েছে। মেথি শরীরের সুগার শোষণ করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে আপনার হজমশক্তি যাবে।
বাতের ব্যথা কমায়
আমাদের দেশের প্রায় সকল বয়সের মানুষের মোটামুটি বাতের ব্যথা রয়েছে। তবে 40 বছরের বেশি বয়সের লোকদের এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। কোন সমস্যা নয় বাথের ব্যথা যদি আপনি প্রতিদিন সকাল বেলা বাসি পেটে কিছু মেথির দানা খেয়ে ফেলেন তাহলে এক মাসের মধ্যে আপনার বাতের ব্যথা সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যাবে।
কোলেস্টেরল কমায়
শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে নীতির ভূমিকা অনেক আপনি যদি প্রতিদিন মেথি খান তাহলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরল কমবে তার সাথে আপনার শরীর কেউ আস্তে আস্তে কোলেস্টরেল হওয়ার ক্ষয়ক্ষতি থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করবে।
কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা
”Phytotherapy Research”– গবেষণা অনুযায়ী, ক্যালসিয়াম অক্সালেট জাতীয় কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে মেথিই সক্ষম। গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে, মেথি খাওয়া প্রাণীগুলো কিডনির মধ্যে কম ক্যালসিফিকেশন হয়েছে।
বিস্তারিত একটি সুন্দর ধারণা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কিন্তু উপরে দেওয়া আছে এর অপকারিতা সম্পর্কে মেথির তেমন কোন অপকারিতা নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি উপকারী বেজোস। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে আপনার শরীরে ঘামের সাথে এক ধরনের দুর্গন্ধ হতে পারে।