পহেলা ফাল্গুন নিয়ে স্ট্যাটাস, আজ পহেলা ফাল্গুন। ফাল্গুন মাসের প্রথম তারিখে পহেলা ফাল্গুন উদযাপন করা হয়। বসন্তের এ সময় গাছে গাছে ফুটে নানান রঙের ফুল। বিশেষ করে পলাশফুল shimul-ful আরো নানা জাতের ফুল ফুটে থাকে এই বসন্তে। গাছে গাছে কোকিল ডাকে তার আপন সুরে। পহেলা ফাল্গুনে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অংশ। এ দিনটিতে আমরা অনেক ধরনের কর্মযজ্ঞ করে থাকি। এই দিনটি নিয়ে অনেক কবি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অনেক ধরনের উক্তি এবং কবিতা রচনা করেছে। আজকে আমরা সেরকমই কিছু উক্তি স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। জবল আপনারা আপনাদের কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করে ফাল্গুনের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবেন।
পহেলা ফাল্গুন উক্তি
Whether the flowers bloom or not, it is spring today
– Subhash Mukherjee
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত
– সুভাষ মুখোপাধ্যায়
I sang in the rhythm of Fagun’s new joy; Dil tare banabithi kokilera kalagiti, bhari dil bakulera gandhe
– Rabindranath Tagore
ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আরো পড়ুন: পহেলা ফাল্গুন ২০২২ মেসেজ, ছবি – বসন্ত উৎসব ২০২২ পিক, স্ট্যাটাস, শুভেচ্ছা, SMS, সাজগোজ
Vibrant river water sparkles, the moonlight glistens on the sand. The boat is tied to the shore, the boatman wakes up, the full moon night gets drunk
– Rabindranath Tagore
স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে , জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে । নৌকা ডাঙায় বাঁধা , কাণ্ডারী জাগে , পূর্ণিমারাত্রির মত্ততা লাগে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Kanchan flowers developed in Falgun, Amramukul accumulated in branches. The bee buzzing, the bee buzzing, the buzzing in the south
– Rabindranath Tagore
ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল , ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল । চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায় , বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ আমার আপনহারা প্রাণ; আমার বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দূরে কোন্ শয্যায় একা কোন্ ছেলে বংশীর ধ্বনি শুনে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হলুদ বরন মেঘলা এ তার যৌবন উছলায় লাল ওরনার আড়াল দিয়া চক্ষু দুটি চায় খোপায় টগর ময়না বুঝি আমায় খুঁজে হায় বসন্তে এ বিহুর লগন উত্তাল হয়ি যায়
– সংগৃহীত
তাহার নাচ দেখি অমার অঙ্গ অবস হয় ঢোলের কাঠি দুহাত থিকে অপনি খসি যায় জগত জুড়ি বিহুর পরব খুসি জে ছড়ায় বসন্তে এ বিহুর লগন উত্তাল হয়ি যায়
– সংগৃহীত
আরো পড়ুন: পহেলা ফাল্গুন ছবি
আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে কেটে মামুলি ফাল্গুনে
– হেলাল হাফিজ
বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে
– কাজী নজরুল ইসলাম
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক
– নির্মলেন্দু গুণ
একঝাক পাখি এসে ঐকতানে , গান গায় এক সাথে ভোর বিহনে, অচানক দুনিয়াটা আজব লাগে, আড়মোড়া দিয়ে সব গাছেরা জাগে, লাল নয় কালো নয় সবুজ পাতা, জেগে ওঠে একরাশ সবুজ পাতা
– ফররুখ আহমেদ
হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
– সুফিয়া কামাল
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- দখিন দুয়ার গেছে খুলি? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?
– সুফিয়া কামাল
তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান? ডেকেছে কি সে আমারে? -শুনি নাই,রাখিনি সন্ধান
– সুফিয়া কামাল
কহিলাম “ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই? যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই।” কহিল সে পরম হেলায়- “বৃথা কেন? ফাগুন বেলায় ফুল কি ফোটে নি শাখে? পুষ্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন? মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নি সে অর্ঘ্য বিরচন?
– সুফিয়া কামাল
তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন স্বপন মাখা । তোমার চাঁদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখ-সুখের সকল অবসান
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর