নিউ মার্কেটে নতুন আতঙ্ক যে কারনে অস্ত্র হাতে নিল ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। নিউ মার্কেট এবং ঢাকা কলেজ এর সংঘাতের নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এলো। কেন নিউমার্কেট এবং ঢাকা কলেজ এর ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল। এ তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন তদন্ত মহল তদন্ত করতে গিয়ে নতুন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তাদের হাতে এলো।
দেখা যায় সর্বপ্রথম এই সংঘাতের কারণ হচ্ছে একটি ফাস্টফুড এর দুটি কর্মচারীর সংঘাতের কারণে। নিউমার্কেট এলাকায় ফাস্টফুড চাকরি করা দুই কর্মচারীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর এক পর্যায়ে সমস্যার সমাধানের সময় সেখানে হাতাহাতির ঘটনা দেখা দেয়। এই তথ্যটি পাওয়া যায় সেই ফাস্টফুড দোকানে সিসি ক্যামেরা থেকে।
একপর্যায়ে সমস্যার সমাধান হলে। সেখানকার এক কর্মচারী ঢাকা কলেজের ছাত্রদের কে মিথ্যা কথা বলে তাদের সেখানে নিয়ে আসে। তারপর সেখান সমস্যার নতুন মোড় নেয়। সে সমস্যা পুনরায় সমাধান করার সময় একপর্যায়ে বাবু নামের এক কর্মচারী সেখানে সমস্যা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে চাপাটি এবং আরও বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপি শুরু হয়ে যায়।
সেই সমস্যার ফলে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র আহত হয়। মূলত এর জের ধরে ঢাকা কলেজ এবং নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এবং ঢাকা কলেজের ছাত্র দের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এর ফলে বিভিন্ন মহল থেকে লোকজন এসে এ সংঘর্ষে জড়ায়।
এই সংঘাতের যারা মূলহোতা তাদের মধ্যে তিন জনকে শনাক্ত করা গেছে। এদের একজনের নাম হচ্ছে নাসিম। তার গায়ে তার নিজের নাম লেখা জার্সি পরনে ছিল। আরেকজনের নাম হচ্ছে মাসুম তিনি সবুজ রঙের টি-শার্ট পরা ছিলেন। তৃতীয় জনের নাম হচ্ছে লিটন তার পরনে ছিল মেরুন রঙের শার্ট।
তিনজনই ঢাকা কলেজের ফরহাদ হলের ছাত্র। নাসিম অভিযোগ করেন এই মারামারিতে তার গায়ে হাত দেওয়া হয়েছিল। এরপর তারা সেখান থেকে বের হয়ে তাদের ক্যাম্পাসে চলে যায়। সেখানে তারা গুজব ছড়ায় নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে যাওয়ার পর দোকানিরা তাদের উপর আক্রমণ করে। এ কথা শোনার পর ক্যাম্পাস থেকে দলে দলে ছাত্ররা বের হয়ে নিউ মার্কেট এবং ধানমন্ডি হকার্স ভাঙচুর শুরু করে। এরপর থেকে এই সংঘাতে রূপ নেয় নিউমার্কেট বনাম ঢাকা কলেজ।
বর্তমানে নিউমার্কেটে ছাত্র কমিটির কোনো সভাপতি এবং ছাত্রলীগের কোনো সভাপতি না থাকার কারণে এই সংঘাত এখনো থামানো যায়নি।