সরিষার তেলের ১০+টি উপকারিতা ও অপকারিতা,সরিষার তেল এনাম টি আমরা সবাই শুনেছি। কারণ ভর্তা জাতীয় খাবারের সরিষার তেলের জুড়ি নেই। বর্তমানে অনেকেই রান্নায় তেল খেয়ে থাকে। এই সরিষার তেলে কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে আপনারা শুনলে চমকে যাবেন। এই সরিষার তেলে রয়েছে হাজার 1927 ক্যালোরি। এক কাপ সরষের তেল চর্বি থাকে 218 গ্রাম। সরিষার তেলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ওমেগা ফ্যাটি এসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ।
সরিষার তেল কি ভাবে তৈরি হয়
সরিষার তেল মূলত সরিষার বীজ থেকে তৈরি হয়। সরিষার বীজ বিভিন্নভাবে প্রসেসিং এর মাধ্যমে সেখান থেকে বিশুদ্ধ সরিষার তেল বের করা হয়। কিন্তু সরিষার তেল বের হওয়ার সাথে সাথে সেটা খাওয়া যায় না। কারণ সরিষা থেকে তেল নির্গত হলে তেলটি খোলা থাকে যার ফলে তখন সেটি খাওয়ার উপযোগী থাকে না কিন্তু বেশ কয়েকদিন রেখে দিলে টা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং স্বচ্ছ হয়ে যায়।
জয়তুন ফল-সুন্নাহ জাতীয় এই ফলের উপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা
১. দীর্ঘ কালো চুলের জন্য সরিষার তেল খুব উপকারী।
২. গ্লুকোসিনোলেট থাকায় ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৩. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান থাকায় র্যাশ ও রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৪. সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে।
৫. এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
৬. ত্বকের ব্রণ হোক বা ট্যান পড়া, সব ক্ষেত্রেই সরিষার তেল কাজে দেবে। অল্প পরিমাণে সরিষার তেল হাতে নিয়ে ভালো করে মালিশ করুন আপনার ট্যান পড়া জায়গায়। তারপর তুলা পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চোখে পড়ার মতো উপকার দেখতে পাবেন।
৭. মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।
৮. ১/২ চা চামচ সরিষার তেল + ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া + ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে দাঁত ও মাড়িতে হালকা করে দু’বেলা ঘষুন।
৯. সরিষার তেল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে সহায়তা করে।
১০. পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর জন্য ঔষধ হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধে পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না।
১১. রিবোফ্ল্যাভিন ও নায়াসিন সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১২. সুস্থ দাঁত ও জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ প্রতিরোধে সরিষার তেল সহায়ক।
১৩. সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।
গরম পানি খাওয়ার ৫+টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেলের অপকারিতা
১. প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২. দীর্ঘদিন ধরে ত্বকে ব্যবহার করলে চামড়ার ক্ষতি করতে পারে। •অন্তঃস্বত্তা নারীদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
৩. লাং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. হৃদ্স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
৫. এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল খেলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সর্বশেষ একটি কথাই বলবো সব জিনিস বেশি বেশি খাওয়া ভালো না। পরিমিত পরিমাণে যেকোনো জিনিস খেলে সেটা উপকারে আসে। তাই আপনারা যদি পরিমিত পরিমাণে সরিষার তেল খান তাহলে অবশ্যই আপনাদের কোন ক্ষতি হবেনা বরং সব উপকার হবে। তাই আপনাদের বলব আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল খাবেন না কারণ তেলজাতীয় সব খাবারই ক্ষতিকর।