সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ ডুয়াল চ্যানেল এবিএস রিভিউ ২০২২
সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ রিভিউ ২০২২। যাদের স্পোর্টস বাইক সম্পর্কে ধারণা আছে। তারা হয়তো একটি বাইকের নাম শুনেছেন সেটি হচ্ছে সুজুকি জি এস এক্স-আর দুয়াল চ্যানেল abs । বাংলাদেশের যারা টপ স্পিড বাইক পছন্দ করে তাদের পছন্দের তালিকায় এই বাইক টি রয়েছে। এবারি এটি সুজুকির স্পোর্টস সেগমেন্টের সিরিজ। সুজুকির বাইক গুলো দেখতে অনেক ইস্টাইলিস্ট এবং এই বাইক গুলার পারফরমেন্স অনেক ভাল। বাংলাদেশের যতগুলো ক্যাটাগরির স্পোর্টস বাইক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ টপ স্পীদ সবচাইতে বেশি। যেহেতু আমাদের দেশের সিসি লিমিট রয়েছে যার কারণে আমরা অনেক বড় বড় স্পোর্টস বাইক এর স্বাদ পাই না। কিন্তু তাতে কি আমাদের দেশে যে ছোট সিরিজগুলো রয়েছে তার মধ্যে আমরা সর্বোচ্চ সাদ টুকু নিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ সৃষ্টি রয়েছে এটি সুজুকি 1000 সিসির বাইক থেকে নেয়ার টি মডেল। বর্তমানে সুজুকি gsx-r 150 এর সর্বশেষ ভার্সনটি বাজারে এসেছে সেটি আরও মজবুত এবং আরো শক্তিশালী এতে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। নিচে সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ ফিচার রিভিউ ২০২২ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আলোচনার বিষয়বস্তু
- ডিজাইন এবং লুক
- ইঞ্জিন পারফর্মেন্স
- বডি ডাইমেনশন
- সাসপেনশন
- টায়ার এবং ব্রেক
- মিটার প্যানেল এবং ফিচারস
ডিজাইন এবং লুক
ডিজাইন এবং লুক সম্পর্কে যদি এই বাইক সম্পর্কে বলতে চায় তাহলে বলার কোনো শেষ নেই।কারণ হচ্ছে এই বাইকটি যে আগ্রেসিভ লুক এবং ডিজাইন, যে কেউ দেখলে তার মন কেড়ে নেবে। সুজুকি gsx-r 150 এর যে এগ্রেসিভ লুক এবং যে অত্যাধুনিক স্টাইলিশ স্পোর্টস বাইক যা বলার মত নয়।এবার এটি দেখতে অন্যসব স্পোর্টস বাইক এর তুলনায় একটু ছোট এবং একটু খাটো কিন্তু এর অসাধারণ পারফামেস্ন্ এর জন্য লুকটা অসাধারণ দেখতে। এর এ্যারোডাইনামিক ডিজাইন এর কারনে এটি বাতাশের শক্তি ভেদ করে অনেক গতি তুলতে পারে। যার কারণে এ বাইকটিকে গতির দানব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বাইকের সামনে যে হেডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে এই বাইকের হেডলাইট এর কারনে এটি দেখতে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। চকচকে কালার এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এর আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এবার স্টাইলিশ রিম এবং ফিটাল ডিস্ক গুলির জন্য একটি দেখতে অসাধারণ লাগে।
আরো পড়ুন:
ইয়ামাহা fz-x price in bangladesh
সুজুকি জিএসএক্স-আর ১৫০ ইঞ্জিন পারফর্মেন্স
- ইন্জিন সিসি: ১৫০ ১৪৭.৩ সিসি সিংগেল-সিলিন্ডার, অয়েল-কুল্ড, ডিওএইচসি, ফোর-স্ট্রোক এবং ফোর-ভালভ ইঞ্জিন যা ফুয়েল ইনজেকশন
- বিএইচপি: ১৮.৯
- আরপিএম: @১০৫০০
- সর্বাধিক টর্ক: ১৪ এনএম @ ৯০০০ আরপিএম
- মাইলেজ: ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার
- গিয়ার বক্স: ৬-স্পীড গিয়ার বক্স
বডি ডাইমেনশন
- ২০২০মিমি, প্রস্থ ৭০০মিমি এবং উচ্চতা ১০৭৫মিমি
- গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ৭৮৫মিমি, ১৬০ মিমি
- বাইকের ওজন: ১৩১কেজি
- ফুয়েল ট্যাঙ্কটি: ১১লিটার
টায়ার এবং ব্রেক:
- সামনের টায়ার: ৯০/৮০-১৭
- পিছনের টায়ার: ১৩০/৭০-১৭
- টায়ার: উভয়ই টিউবলেস
- এবিএস: ডুয়াল চ্যানেল এবিএস
- টাইপ: সম্পূর্ণ স্পোর্টস টাইপ
সুজুকি এই বাইকটির এর সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হয়েছে। ইলেকট্রিক মিটার দেখতে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মতো। যাতে বিভিন্ন ধরনের ফিচার যোগ করা হয়েছে।এখানে থাকছে ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ডিজিটাল টেকোমিটার, ট্রিপ মিটার, ওডোমিটার, ক্লক, গিয়ার ডিসপ্লে, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর ইত্যাদি। এছাড়াও, গিয়ার ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, লো ফুয়েল এবং লো ব্যাটারি ইন্ডিকেটরও রয়েছে।
এই বাইকটি বাজারে মূলত চারটি কালার এভেলেবেল পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছে ব্ল্যাক গ্রেট কম্বিনেশন, ব্ল্যাক ইয়োলো কম্বিনেশন, রেসিং ব্লু যা তাদের একশ বছর পূর্তিতে এই বাইকটি রেসিং ব্লু কালারের তারা নিয়ে এসেছে এবং আরেকটি রয়েছে শুধু ব্লু কালার।
আমাদের এই বাইকের তথ্য গুলো যদি আপনাদের কাছে ইনফরমেটিভ মনে হয় তাহলে আমরা সার্থক। আর যদি কোন প্রকার তথ্যবহুল কিংবা মিসটেক হয়ে থাকে তাহলে আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে দেয়ার জানিয়ে দিন আমরাতো তৎক্ষণাৎ সংশোধন করে দেবো এবং পুনরায় আরও আপডেট কিছু শেয়ার করে দেব।আপনারা যে বাইক সম্পর্কে জানতে চান আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন তাহলে আমরা সে সকল বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারব।