টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান-বিখ্যাতো তাতের শাড়ি টাংগাইল

টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান

টাংগাইল নিয়ে যদি কথা বলতে চাই তাহলে প্রথমে আপনাদের টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং টাঙ্গাইলের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। টাঙ্গাইলের অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে টাঙ্গাইলের অনেক ইতিহাস রয়েছে।সংক্ষিপ্তাকারে টাঙ্গাইলের কিছু ঐতিহ্য এবং টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থানসমূহ একনজরে আপনাদের সাথে আলোচনা করব এবং বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হবে। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য মধ্যে বিশেষ কিছু ঐতিহ্য হলো টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম। টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প কিংবা তাঁতের শাড়ি।

টাঙ্গাইলের ইতিহাস সম্পর্কে যদি ছোট করে একটি ধারণা দেয় তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নেতা হচ্ছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী জে টাঙ্গাইল কাকমারি সন্তোষ এলাকায় বসবাস করতেন। এবং মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাসা টাঙ্গাইল। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র্রপতির বাড়ি টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান সমূহ অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাগরপুরের দর্শনীয় স্থান সখিপুরের দর্শনীয় স্থান মমিশিং এর দর্শনীয় স্থান গাজীপুরের দর্শনীয় স্থান সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান। চলুন এর সমস্ত দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা যাক।

আরো পড়ুন:

সামান্থা আক্কিনেনি ডিভোর্স নাগা চৈতন্য-samantha akkineni

দর্শনীয় স্থানসমূহ

  • নাগরপুরের দর্শনীয় স্থান
  • সখিপুর দর্শনীয় স্থান
  • ময়মনসিংহ দর্শনীয় স্থান
  • মধুপুরের দর্শনীয় স্থান
  • সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের ভ্রমন স্থান নাগরপুর

টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান

নাগরপুরের জমিদারবাড়ি সে অনেক আগের কথা। নাগরপুরের পাকুটিয়া তে অবস্থিত নাগরপুর জমিদার বাড়ি।সেখানে জমিদার নেই কিন্তু পড়ে রয়েছে জমিদার বাড়ির অপরূপ সৌন্দর্য জমিদার ভবন এবং জমিদারের ব্যবহৃত অনেক ধরনের নির্মাণাধীন বসতবাড়ি।নাগরপুরের সে দৃষ্টিনন্দন রাজবাড়ী গুলো এখন বর্তমান সময়ে অনেক বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো পুরনো কোনো কারুকাজ কিংবা পুনরায় মেরামত করা হয়নি। কিন্তু তারপরও সেই নির্মাণাধীন অপরূপ কারুকাজ দেখলে মনমুগ্ধকর হয়ে যাবে।কয়েকটি জমিদারবাড়ি সেগুলো এখন মহিলা কলেজ হিসেবে চলতেছে যেখানে তাদের স্থানীয় এমপি সে গুলোকে কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।নাগরপুরের পাকুটিয়া তে তিনটি জমিদারবাড়ি টিকে আছে আর গুলো প্রায় ধ্বংসের পথে চলে গেছে।

নাগরপুরের পাকুটিয়ার সে জমিদার বাড়ির মাঝে নেমপ্লেটের খোদাই করা আছে ১৯১৫ শ্রীযুক্ত বাবু ভপেন্দ্র মোহন রায়, ১৩২২ সন, ২রা বৈশাখ, ১৫ই এপ্রিল। বাড়িটি বর্তমানে পাকুটিয়া বি.সি.আর.জি ডিগ্রি কলেজ-এর প্রশাসনিক ভবন ও ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভবনের মাঝে খোদাই করে লেখা রয়েছে, ১৯১৫ সন, শ্রীশ্রী বিষ্ণু দাস কবীন্দ্র ঠাকুর, শ্রীশ্রী চবন ভরসা। ১৫ই এপ্রিল-এর নিচেই লেখা শ্রীযুক্ত বাবু যোগেন্দ্র মোহন মন্ডল, ১৩২২ সন, ২রা বৈশাখ

আপনারা যেভাবে এই নাগরপুরের দর্শনীয় স্থান টি তে যেতে পারেন

 যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা সরাসরি টাঙ্গাইল না হয়ে মানিকগঞ্জ  সাটুরিয়া হয়ে আসলে দূরত্ব অনেক কম হবে সাটুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী নাগরপুর পাকুটিয়া এলাকায় জমিদার বাড়ি অবস্থিত।

সখিপুর দর্শনীয় স্থান সমূহ

টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান

সখিপুরের দর্শনীয় স্থান সমূহ বহেড়াতৈল সখিপুর টাংগাইল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অধ্যায় রচিত হয়েছিল সখিপুরে এই স্থানে ।1971 সালের মুক্তিযুদ্ধে নির্দেশন হিসেবে এই উপজেলায় অবস্থিত হয়েছে এক সৃতিসৌধ।যেখানে 1971 সালের সেইসময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল সেখানে। সেখান থেকে সব মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাব্যবস্থা পরিচালিত হতো।একাত্তর সালের যুদ্ধের সময় সখিপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল বাজারে সংলগ্ন স্থানে মহান মুক্তিযুদ্ধের শপথ বাক্য পাঠ করানো হতো।সে জায়গায় স্থাপিত হয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ স্থপতির নাম হচ্ছে কোকিলা পাবন স্মৃতিসৌধ।

ময়মনসিংহ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ টাংগােইল

টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি।মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের প্রাচীন জমিদার বাড়ি গুলোর মধ্যে একটি এর অবস্থান মমিশিং থেকে 16 কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছা।সর্বজনবিদিত হচ্ছে, শ্রীকৃষ্ণ আচার্য ১৭২৫ সালে এই জমিদারি শুরু করেন। জমিদারি শুরুর পর বিনোদবাড়ির নাম বদলে হয় মুক্তাগাছা।

মুক্তাগাছা জমিদারির ১৬ টি অংশ ১৬ জন জমিদার শাসন করতেন। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির প্রবেশমুখে আছে বিশালাকার সিংহ দরজা।এই রাজ বাড়িতে প্রায় ১০,০০০ বইয়ের একটি দূর্লভ লাইব্রেরি ছিল, যা বিভিন্ন সময়ে হুমকির সম্মুখীন হয়।

কিভাবে মুক্তাগাছা যাবেন ঢাকা থেকে

যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা যদি এই ময়মনসিংয়ের মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িতে আসতে চান তাহলে প্রথমে আপনাদেরকে ঢাকা থেকে সবার প্রথমে ময়মনসিংহ যেতে হবে তারপর ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছার দূরত্ব 17 কিলোমিটার।মুক্তাগাছা আসার পর মুক্তাগাছা বাজারের ভেতর দিয়ে একটু এগোলেই মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি পৌঁছে যাবে।

মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়

বাংলাদেশের অন্যতম একটি জীব বৈচিত্র জায়গা হচ্ছে মধুপুর গড়। যা একসময় সুন্দরবনের পড়ে যার অবস্থান ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু অসাধু লোকের কারণে এ বন ধ্বংসের দিকে চলে গেছে।মধুপুর হচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রসুলপুর বাজার নামক স্থানে গিয়ে মধুপুর জাতীয় উদ্যান এর প্রধান ফটক বাম দিকে দেখতে পাওয়া যায়। মধুপুরের এ উদ্যানটি 8436 হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।এই ফোনটিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে যেগুলোর নাম হচ্ছে শাল, বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী, জয়না, বিধা, আজুকি/ হারগাজা, বেহুলা প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষরাজিতে শোভিত এই উদ্যান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাহাড়ি আলু, শটি আর নাম না জানা বিভিন্ন ধরণের লতাগুল্ম।

এই বনে বানর, বন্য শুকর, মুখপোড়া হনুমান, মায়া হরিণসহ ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী; বনমোরগসহ ৩৮ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর ও কয়েক প্রজাতির সরিসৃপ রয়েছে। বনের ঠিক মাঝখানে লহরিয়া বিট অফিসের কাছে রয়েছে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র।

কিভাবে যাবেন

যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা যদি মধুপুর আসতে চান তাহলে আপনারা প্রথমে মহাখালী বাস স্টেশন থেকে বিনিময় ও শুভেচ্ছা পরিবহন বাস চলবে না সম্ভবত 250 থেকে 300 টাকার মধ্যে হবে শুভেচ্ছা পরিবহনে আরামদায়ক ভাবে আসতে পারবেন। শুভেচ্ছা পরিবহন মহাখালী থেকে বিকেল পাঁচটায় ছেড়ে আসে।

সিরাজগঞ্জ শহরের দর্শনীয় স্থান

সিরাজগঞ্জের অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক, চায়না বাঁধ, নবরত্ন মন্দির।

টাঙ্গাইলে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলোর মধ্যে হচ্ছে টাঙ্গাইলের আতিয়া তে অবস্থিত 10 টাকার মসজিদ। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য পোড়াবাড়ির চমচম। টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প যেটি অবস্থিত টাঙ্গাইলের পাথরাইল ইউনিয়নে।টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে অবস্থিত দেলদুয়ার রাজবাড়ী টাঙ্গাইল করোটিয়া তে অবস্থিত কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী উল্লেখযোগ্য।