নাজিয়া হাসান অদিতি-অপূর্ব বিবাহবিচ্ছেদ এর আসল রহস্য

নাজিয়া হাসান অদিতি

সম্প্রতি সিনেমা পারায় একটি গুঞ্জন উঠেছে যে ছোটপর্দার অভিনেতা অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। ছোটপর্দার অভিনেত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি ফেসবুক ওয়ালে সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন ডিভোর্স। তার কিছুক্ষণ পরে তিনি আরও একটি স্ট্যাটাসে লেখেন আমাকে ,ভাবি বলা সবাই বন্ধ করুন,। এই স্ট্যাটাস গুলো লেখার পর বিভিন্ন ধরনের পত্র-পত্রিকা সোশ্যাল মিডিয়া এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। মূলত এ বিষয়টি অনেক দিন ধরেই কানাঘুষা চলতেছে কিন্তু এ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি এতদিন। কিন্তু অদিতির  ফেসবুক পোস্টের কারণে তাদের ডিভোর্সের বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়।

এ বিষয়ে অদিতি সবাইকে বলেছেন যে সম্প্রতি তাদের দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের ডিভোর্স কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অপূর্ব ,নাজিয়া হাসান অদিতি ঘরে একটি 6 বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।

আরও পড়ুন:

বিষয়বস্তু:

  1. কেন তাদের এই বিবাহ বিচ্ছেদ?
  2. কতদিন আগে দু জনের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে?
  3. বিয়ের ৮ বছর পর কেন এ বিবাহ বিচ্ছেদ?
  4. স্বামী হিসেবে অপূর্ব কেমন?

কেন তাদের এই বিবাহ বিচ্ছেদ?

নাজিয়া হাসান অদিতি

হঠাৎ করে যে কারণে নাজিয়া হাসান অদিতি তার ফেসবুক প্রোফাইল স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা হচ্ছে। তিনি বলেন অপূর্ব ও আয়াশ দুজনে পাবলিক সেলিব্রেটি। তাদের এই পরিচিতির কারণ আমাকে অনেকে চিনেন। তাই আমার মনে হয়েছে যে আপনাদের সবাইকে এই বিষয়টা জানানো উচিত তা না হলে বিচ্ছেদের পরও আপনারা আমাকে ভাবী বলে সম্বোধন করবেন । যার ফলে আমি সরাসরি আমার প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি অনেকদিন যাবত আমার ফেসবুক প্রোফাইলে দুইজনের কোন ছবি ছাড়ি নি যার ফলে আমাকে অনেকেই বলেছে যে আমি কেমন আছি জানতে চেয়েছে এর জন্য আমি সবাইকে এই স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিয়েছি।

কতদিন আগে দু জনের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে?

আমরা বিভিন্ন ধরনের সংবাদমাধ্যম থেকে শুনেছে যে। কতদিন আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।তারা বলেছেন যে খুব কাছাকাছি সময়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।তারা আরও বলেছে যে তাদের দুজনের মতামতের ভিত্তিতে তারা আলাদা হয়েছে।তারা দুজনে অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোনভাবে তারা এই বিবাহ বিচ্ছেদ আটকাতে পারেনি কিংবা বিবাহবিচ্ছেদ আটকাতে পারেনি।

বিয়ের ৮ বছর পর কেন এ বিভাগ হচ্ছে?

এই বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন এ প্রশ্নের উত্তরটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিষয়টা নিয়ে আমি কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাইনা। তবে এতটুকু বলি দুইজনের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল এবং মতবিরোধ ছিল। এ কারণে আমরা ডিসিশন নিয়েছি বিবাহবিচ্ছেদের।

অদিতি আরো বলেন দুজনের চিন্তার জায়গায় এক হচ্ছিল না এছাড়া আমাদের মধ্যে আরো কিছু সমস্যা ছিল। বলা যায় একটু বড় ধরনের ঝামেলা চলছিল আমাদের মধ্যে।তবে সে আমার বাচ্চার বাবা আমি তাকে যথেষ্ট সম্মান করি আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও আমি বলব সে আমার বাচ্চার বাবা। আমি অপূর্বকে যথেষ্ট সম্মান করি কারণ তিনি কোথাও কখনো আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেনি।

স্বামী হিসেবে অপূর্ব কেমন?

স্বামীর সম্পর্কে অদিতি বলেন, আমরা দুজন মারামারি ঝগড়া যাই করি না কেন সেগুলো আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আরো বলেন অপূর্ব বাংলাদেশের ছোট পর্দার একটি জনপ্রিয় মুখ। তিনি আরো বলেন অভিনয় হচ্ছে অনেক বড় একটি গুণ যা সবার দ্বারা সম্ভব নয়। সবাই তো আর চাইলে তারকা হতে পারে না। তিনি আরো বলেন অপূর্ব অত্যন্ত একজন মেধাবী মানুষ হিসেবে সে খুবই ভালো।

তিনি আরো বলেছেন যে, সত্যি কথা বলতে আমরা দুজনে খুব চেষ্টা করেছি একসঙ্গে থাকতে ।কিন্তু হলো না।একটা সময় বুঝলাম যে আমাদের দুজনের আলাদা হয়ে গেলে সম্পর্কটা টিকে থাকবে। দুজনের সম্মান থাকবে এবং আমাদের সন্তান ও ভালো থাকবে।তিনি আরো বলেন যে ঝগড়া ঝামেলা মনোমালিন্য মধ্যে সংসার করলে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ অনেক খারাপ হতো । যার কারণে আমরা ডিসিশন নিতে বাধ্য হয়েছি।

এই সমস্যার পেছনে তৃতীয় কোন ব্যক্তির হাত ছিল কি?

এ বিষয়ে তিনি বলেন না, এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না ।কারণ এখানে কোনো তৃতীয় পক্ষ ছিল না।এটি আমাদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে হয়েছে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য থেকে হয়েছে।