২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে উক্তি কবিতা ইতিহাস স্লোগান

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে উক্তি কবিতা ইতিহাস স্লোগান,আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিনটিতে লক্ষ-কোটি ভাইবোনের তাজা রক্তের বিনিময় বাংলা ভাষা এসেছে। এ দিনটির জন্য বাংলার মানুষের গভীরভাবে শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে এই একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করে থাকে। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য অনেক মানুষের প্রাণ গেছে এই দিনে। আমরা সবাই তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করব। যারা একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে উক্তি খুজতেছেন আজকে আমরা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু স্মরণীয় উক্তি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই উক্তিগুলো আপনারা কপিরাইট করতে পারবেন এবং যে কাউকে শেয়ার করে তাদেরকে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

প্রান টা জুড়িয়ে যায় – যখন শুনি গ্রাম বাংলার গান । কি মধুর বাংলা গানের শুর । মন ভরে যায়, যখন প্রান খুলে কথা বলি মায়ের ভাষায় । গর্ভে বুকটা ভরে যায় ,  তাদের জন্য – যারা জীবন করেছে দান ভাষার জন্য ।

রফিক, সালাম, বরকত, আরো হাজার বীর সন্তান,

করলো ভাষার মান রক্ষা বিলিয়ে আপন প্রান ,

যাদের রক্তে রাঙ্গানো একুশ ওরা যে অম্লান,

ধন্য আমার মাতৃভাষা ধন্য তাদের প্রান ।

রক্তে কেনা বাংলা আমার

লাখো শহীদদের দান,

তবুও কেন বন্ধু আমার

বিদেশের প্রতি টান…

সকাল বেলা পান্তা খেয়ে

বৈশাখের ঐ দিনে,

বিকেল বেলায় উঠছো আবার

ইংলিশ, হিন্দি গানে মেতে…

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে উক্তি

যদি এই ভাষাটা না থাকতো

তবে এত কাব্য এত কবিতা কে লেখত।

যদি এই ভাষাটা না থাকতো

তবে ভালোবাসি এই মিষ্টি কথাটা কে বলত।

যদি এই ভাষাটা না থাকতো

তবে মাকে এত মধুর সুরে কে ডাকত।

সব্বাইকে ২১শে ফেব্রুয়ারীর শুভেচ্ছা

আরো পড়ুন: শেখ রাসেলকে নিয়ে উক্তি অনুপ্রেরণা ও জাগরণে শেখ রাসেল

রক্তে লিখা একটি দিন,

নাম তার ২১শে ফেব্রুয়ারী।

শ্রদ্ধায় আজ সিক্ত জাতী,

জানাই মোরা ফুল দিয়ে প্রিতি।

বাকি ৩৬৪দিন শহীদ মিনার

কাটে যে অবহেলায়।

আজ তুই জবাব দে মা,

যাদের জন্য জবাফুল হল লাল।

রক্ত তে ভেসেগেল বাংলার মাটি,

১দিন স্মরণ করে কি শোধ হবে,

৩০ লক্ষ ভাষা শহীদদের ঋণ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা কত তারিখ

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮)

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা

মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী,

লাখো বাঙালির কাতর চিত্তে করুন আহাজারি.

একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয় ভরা আশা,

তোমার কারণে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা.

রক্ত ঝরালো সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার,

বায়ান্নর সেই করুন কাহিনী মনে পড়ে বারবার.

স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সেই বিষন্ন দিনের কথা,

যত ভাবি ততই যেন মনে পাই বড় ব্যথা.

প্রতিবাদে মুখর দৃঢ় চিত্তে বাংলার দামাল ছেলে,

আরো আছে কত শ্রমিক, যুবক, নারী, কৃষক ও জেলে.

অবশেষে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হলো সরকার,

বাঙালিরা পেল মাতৃভাষার সোনালী দিবাকর.

রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা,

একুশ তুমি চির অমর তুমি আমাদের ভালবাসা…

২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস

বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও, বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে; অন্যদিকে, এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলাকে ইসলামীকরণ তথা আরবিকরণের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে আরবি হরফে বাংলা লিখন অথবা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, এম. এ. ক্লাসের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্র, শ্রমিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা পূর্ণ হরতাল পালন করে এবং সভা-শোভাযাত্রাসহকারে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শফিউর রহমান শফিক, রিক্সাচালক আউয়াল এবং অলিউল্লাহ নামক এক কিশোর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়।

ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হলে ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রবর্তিত হয়।১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।